মুসলমানদের ক্ষমতা হারানোর কারণ : জ্ঞান চর্চা থেকে দূরে সরে আসা

মুসলমানদের ক্ষমতা হারানোর কারণ : জ্ঞান চর্চা থেকে দূরে সরে আসা

 মুসলমানদের ক্ষমতা হারানোর কারণ : জ্ঞান চর্চা থেকে দূরে সরে আসা

-মুহম্মদ গোলাম সামদানি

 স্বর্ণযুগে মুসলমানরা সারা বিশ্বজুড়ে শাসন করেছিলেন, এই ইতিহাস আমরা পাঠ করি। কিন্তু এর পেছনে ছিলো মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার বিস্তর ইতিহাস। মুসলমানরা সেই সময় জ্ঞান চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন।

 হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।” আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “জ্ঞান হচ্ছে সমস্ত কল্যাণের মূল, আর অজ্ঞতা হচ্ছে সমস্ত অকল্যাণের মূল।” এ কারণে সাহাবীগণ সব সময় নিজেদের জ্ঞান চর্চায় আবদ্ধ রাখতেন। জ্ঞান চর্চাকে মুসলমানরা কতটা গুরুত্ব দিতেন, এটা বুঝা যায়, বদর যুদ্ধের বন্দি মুক্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বদর যুদ্ধে যুদ্ধবন্দীদের যারা অক্ষরজ্ঞান সমৃদ্ধ ছিলো, তারা মুসলমানদের মধ্যে যাদের অজ্ঞরজ্ঞান ছিলো না, তাদের অক্ষর জ্ঞান দেয়ার মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারতো। অর্থাৎ জ্ঞানও মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তা মুসলমানরা দেখিয়ে দিয়েছেন। ঐ সময় সাহাবীগণ জ্ঞান চর্চার জন্য সবকিছুকে তুচ্ছ করতেন। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জীবনী মুবারকে দেখা যায়, তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর সবকিছু বাদ দিয়ে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন এবং হাদীস শরীফ মুখস্ত করতেন। তিনি এ কাজ করতে গিয়ে রুটি-রুজি রোজগারে সময় ব্যয় করতেন না। এতে অনেক সময় তিনি ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতর হয়ে অচেতন হয়ে পড়তেন। অনেকে উনাকে দেখে ভাবতো, উনাকে জ্বীনে ধরেছে। কিন্তু বাস্তবে উনার খেয়াল ছিলো আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে পবিত্র জ্ঞান হাসিল করা। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু ছিলেন সর্বাধিক হাদীস শরীফ বর্ননাকারী সাহাবী। সুবহানাল্লাহ।

 ইংরেজীতে একটা কথা আছে, নলেজ ইজ পাওয়ার। জ্ঞান হচ্ছে শক্তি। হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম গণ আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে জ্ঞান হাসিল করে তার বাস্তব প্রয়োগ করতে পেরেছিলেন। যার কারণে সারা পৃথিবী খুব কম সময়ের মধ্যে মুসলমানদের করায়ত্বে চলে আসে। অনেক শক্তিশালী সম্রাজ্যের পতন হয়ে মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ মেনে নেয়। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালার জীবনীতে পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই, তিনি স্বর্ণখজিত কাপ্তানের কাপড় উনার নাক মোছার জন্য ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ কেউ যখন জ্ঞান চর্চা করে এবং সেই জ্ঞান বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারে, তখন তার কাছে ক্ষমতা, সম্পদ আসতে বাধ্য।

 পৃথিবীতে যে কোন কিছু লাভ করতে হলে ৩টি জিনিস ব্যয় করতে হয়। ১. জ্ঞান, ২. সময় এবং ৩. অর্থ। এর একটি বিনিময় করে আবার অপরটি পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে উপরে অবস্থান করে জ্ঞান, অতঃপর সময় এবং শেষে অর্থ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভুল বুঝে দৃষ্টি যখন তৃতীয় বিষয়ে (অর্থ) চলে যায়, তখন প্রথম বিষয়ের (জ্ঞান) সন্ধান সে পায় না।

 এজন্য মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, “জ্ঞান অর্থ সম্পদের চেয়ে উত্তম। কেননা, জ্ঞান তোমাকে পাহারা দেয়, কিন্তু অর্থকে উল্টো পাহারা দিতে হয়। জ্ঞান হল শাসক, আর অর্থ হল শাসিত। অর্থ ব্যয় করলে নিঃশেষ হয়ে যায় কিন্তু জ্ঞান বিতরণ করলে আরো বৃদ্ধি পায়।”

 বর্তমানকালে মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞান চর্চার বিষয়টি নেই বললেই চলে। মুসলসানরা শুধু সম্পদের পেছনে দৌড়ায়। এবং যতটুকু জ্ঞান চর্চা করে সেটাও সম্পদ পাওয়ার জন্য। পাশ করে সার্টিফিকেট পাবে, আর সেই সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী পাবে, চাকুরী পেলে টাকা পাবে, ব্যস এতটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ সবকিছু। অনেক উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্ত লোককে দেখেছি, তার পয়সা কামানোর জন্য যতটুকু জ্ঞান দরকার, সেটুকুই জানে। তার বাইরে তেমন পড়ালেখাই নেই। কামাই-রোজগারের বাইরে ছোট একটা বইও পড়ার ধৈর্য্য্ হয় না তাদের।

 স্বর্ণযুগের মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার সেই স্বভাবটা এখন ইহুদী-নাসারারা নিয়ে গেছে। স্বর্ণযুগে জ্ঞান চর্চার শীর্ষে থাকার কারণে মুসলমানরা ছিলো সারা বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাবান, আর এখন ইহুদী-নাসারারা জ্ঞান চর্চা ধারা চুরি করে নিজেরা ক্ষমতাবান হয়ে গেছে। ‍মুসলমানরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের ক্ষমতা।

 দেখা যায়, জ্ঞান চর্চা তথা গবেষণা-বিশ্লেষণ করেই সব কিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়। এজন্য ইহুদী-নাসারারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন থিংক ট্যাংক (চিন্তাকেন্দ্র) বা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান খুলে সবার মন-মগজ নিয়ন্ত্রণ করছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হল এক ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধি বৃত্তিক কাজ করে জাতীয়-আন্তর্জাতিক নীতি তৈরি এবং প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কোম্পানিগুলো অর্থের বিনিময়ে বুদ্ধি বিক্রি করে। লক্ষণীয়, বিশ্বের অনেক ঘটনার পেছনে এইসব থিংক ট্যাঙ্ক গ্রুপগুলোর বুদ্ধি দেওয়া জড়িত, যা হয়ত স্বাভাবিকভাবে দৃশ্যমানও হয় না। তাদের থেকে যখন কোন দেশ বা কোম্পানি বুদ্ধি কিনতে চায়, তখন তারা গবেষণা করে এমন কু-বুদ্ধি দেয়, যা ব্যবহারে ইহুদী-নাসারাদের কোন স্বার্থ হাসিল হয়।

 একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। বর্তমানে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত চলমান। এই সংঘাতের সূচনা হয়, ৭ই অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে। হামাসের একদল অকুতোভয় যোদ্ধা প্যারাসেইলিং করে ইসরাইলে গিয়ে হামলা চালায়। ঐ হামলার মূল কারণ ছিলো সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে গিয়েছিলো, সেই স্বীকৃতি দানে বাধা দিতেই সেই সময় তাৎক্ষণিক হামলা। ফলে সৌদি আরবের স্বীকৃতি দান সাময়িক হলেও থেমে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সৌদি আরব কেন ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলো? এর কারণ ‍ৃসৌদি আরব ২০১৬ সালে সৌদি ভিশন ২০৩০ নামক একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করে, যার মাধ্যমে সৌদি আরবে কাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে চায়। দেখা যায়, সৌদি আরব সেই সকল উন্নয়নের কাজ ইসরাইলী কোম্পানিদের দিয়ে করাতে চেয়েছিলো। কাজে যেন কোন বাধা না থাকে, সে জন্য ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে উদ্দত হয় সৌদি আরব। আর সেটা আটকাতেই হামাসের হামলা।

 প্রশ্ন আসতে পারে, সৌদি ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা সৌদি আরবকে কে তৈরী করে দিয়েছিলো? উত্তর হচ্ছে, ‘ম্যাকেনজি’ নামক যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীক থিংক ট্যাঙ্ক কোম্পানি। ‘ম্যাকেনজি’র গবেষণকরাই সৌদি সরকারকে এই পরিকল্পনা তৈরী করে দেয়। সেই পরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার পর ২০১৬ সালে পাকিস্তানের একটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, সৌদি আরবকে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের নামে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরী করে দেয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করতে হলে সৌদিকে এক সময় ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যার বাস্তবায়ন প্রায় ৭ বছর দেখা গেলো। অর্থাৎ উন্নয়নের বুদ্ধি চাইতে গিয়ে সৌদি আরবকে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক কোম্পানি এমন বুদ্ধি দিয়েছে, যা বাস্তবায়নে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় সৌদি আরব। অর্থাৎ পুরো ঘটনা ঘটেছে গবেষণা বা বুদ্ধির জোরে।

 কাফিররা যখন জ্ঞান-গবেষণা করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, সেখানে মুসলমানের জ্ঞান আহরণেই খুব অনিহা। বই পড়তে চায় না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের মজলিসে বসতে চায় না। ঘুরতে ফিরতে ভালো লাগে, খাওয়া দাওয়া করতে ভালো লাগে। কিন্তু কোন কিছু পড়তে বা জ্ঞানের কথা শুনলেই ভয়ে পালায়। আমি দেখেছি, অনেকের বাসায় অনেক বই আছে, কিন্তু সে সেই বই পড়েও দেখে না। বই রাখে বাসা সাজানোর জন্য। এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, জ্ঞান শুধু বইয়ের পৃষ্ঠায় থাকলেই হয় না, বাস্তব চর্চা করতে হয়, পরষ্পর আদান প্রদান করতে হয়। কিন্তু যে জ্ঞান শুধু বইয়ে সীমাবদ্ধ, বাস্তব চর্চা ও আদান প্রদানে নেই, সেই জ্ঞান দিয়ে ফায়দা লাভ করা যায় না। যেমন- ১২৫৮ সালে হালাকু খান কর্তৃক বাগদাদ নগরী ধ্বংসের ইতিহাস আমরা মোটামুটি অনেকেই জানি। বাগদাদে তখন মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞান জমাকৃত বইয়ের লাইব্রেরী বায়তুল হিকমাহ ছিলো। বাগদাদ ধ্বংসের সময় সেই বায়তুল হিকমাহ লাইব্রেরীও ধ্বংস করে দেয় হালাকু খান। এখানে লক্ষণীয়, বাগদাদে তখন বায়তুল হিকমাহ লাইব্রেরীতে জমা ছিলো লক্ষ লক্ষ বই, যেখানে অনেক অনেক জ্ঞান, বিজ্ঞান ও হেকমত ছিলো। কিন্তু সেখানকার আব্বাসীয় খলিফা আল-মুতাসিম কিন্তু সেই জ্ঞানের ভাগিদার হতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে তিনি কৌশলগতভাবে বর্বর হালাকু খানের খানের কাছে পরাজিত হন, পতন হয় বাগদাদের। অর্থাৎ জ্ঞান শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব চর্চা (আমল) ও আদান-প্রদান (তালিম-তালকিন) এর মধ্যে আনতে হবে। তখন ঐ জ্ঞান দ্বারা সফলতা আসবে।

 মুসলমানদের জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মুসলিম নামধারী কিছু আলেম তারা বিভিন্ন ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের জ্ঞান চর্চাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। এটা মুসলমানদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। যেমন- মুসলমানদের জন্য একটা আবশ্যিক জ্ঞান হলো আত্মশুদ্ধি বা তাসাউফ চর্চার জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের জন্য একজন শায়েখ বা পীর সাহেবের কাছে বাইয়াত হতে হয়। কিন্তু একটি মহল তাসাউফ চর্চার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিরাট জ্ঞানশূণ্য করে রেখেছে।

 আবার দ্বীনি জ্ঞান বলতে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত অর্থাৎ প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সমাজ কিভাবে চলবে, লেনদেন কিভাবে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা নাই। যেমন- দ্বীন ইসলামে জ্ঞানের একটি বড় শাখা হচ্ছে মুয়ামালাত, যে জ্ঞানে লেনদেন কিভাবে হবে সেটা জানা যায়। আরেকটি শাখা হচ্ছে, মুয়াশারাত। যার অর্থ আচার-আচরণ ও ব্যবহারের জ্ঞান। সমাজে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গেলে মুয়ামালাত-মুয়াশারাতের জ্ঞান খুব জরুরী। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ব্রিটিশরা ক্ষমতায় এসে আমাদের শিক্ষা সিলেবাস থেকে মুয়ামালাত-মুয়াশারাতের জ্ঞান তুলে দেয়। এতে মুসলমানরা সামাজিক জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন ব্রিটিশরাই মুসলমানদের হেয় করতে রটিয়ে দেয়, “মুসলমানদের সামাজিক কোন জ্ঞান নেই, তারা সারাদিন ইবাদত বন্দেগী নিয়ে পড়ে থাকে, মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ” নাউযুবিল্লাহ। অথচ দ্বীন ইসলাম হচ্ছে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। সব কিছুর জ্ঞান দ্বীন ইসলামে আছে। কিন্তু শিক্ষা সিলেবাস থেকে বাদ দেয়াতে এই সমস্ত জ্ঞান যে দ্বীন ইসলামে রয়েছে, তা মুসলমানরাই জানতে পারছে না।

 এজন্য মুসলমানরা যদি আবার তাদের স্বর্ণযুগ ফিরে পেতে চায়, তবে তাদের মধ্যে আবার জ্ঞান চর্চা শুরু করতে হবে। জ্ঞানের সকল ধারায় মুসলমানদের প্রবেশ করতে হবে। তাসাউফ, মুয়ামালাত, মুয়াশারাতসহ গবেষণা-বিশ্লেষণসহ বাস্তবমুখী চর্চা করতে হবে, আদান-প্রদান করতে হবে। মুসলমানরা যদি জ্ঞান চর্চা পুরোদ্যমে শুরু করে, তবে খুব শিঘ্রই মুসলমানরা তাদের আগের অবস্থা ফিরে পাবে ইনশাল্লাহ ।

 

Comments