অর্থনীতির সেকাল একাল

Comments · 3658 Views

যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতিতেই শতভাগ দারিদ্র বিমোচন ও বেকারত্ব সমস্যা দূর করা সম্ভব। সুদ ভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় তা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এটি সময় দ্বারা পরীক্ষীত। 

লন্ডনের অভিজাত এলাকায় সম্পদের মালিকানায় জাপানীদের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশীরা!

লন্ডনের সবচেয়ে অভিজাত এলাকাগুলো স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ‘প্রাইম সেন্ট্রাল লন্ডন’ হিসেবে। গোটা লন্ডনে এসব এলাকায় প্রপার্টির দাম সবচেয়ে বেশি। বহুমূল্য এসব প্রপার্টির মালিকানাকে দেখা হয় অতিধনী ব্রিটিশদের আভিজাত্যের নমুনা হিসেবে। তবে শুধু অতিধনী বৃটিশ নয় এসব প্রপার্টির মালিকদের মধ্যে রয়েছে ৪০ শতাংশ বিদেশী। তারমধ্যে শীর্ষ দশে স্থান রয়েছে বাংলাদেশীদের। শুধু তাই নয় এসব বহু মূল্যের প্রপার্টি খরিদে জাপানীদেরও পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশীরা।

অথচ এই বাংলাদেশেই এখনো বেকারত্ব, দারিদ্রতা, অতিদারিদ্রতার সূচকে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বজাতীর মধ্যে ধনী গরিবের এই বৈষম্য সৃষ্টির মূল কারন পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা এবং পবিত্র যাকাতের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার অভাব।

একমাত্র সুষ্ঠভাবে যাকাত ব্যবস্থাপনাই এই বৈষম্য দূর করতে পারে। এ ছাড়া কোন সমাধান নেই। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশ্ববাসীকে তাক লাগাতে সমর্থ হলেও ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছেনা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিরাট একটি জনগোষ্ঠীর। যাকাত প্রদানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় অথবা শরীয়া আইন মোতাবেক যাকাত প্রদান না করায় প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা যাকাত দেয়া হলেও গরিবের কোন উন্নয়ন হচ্ছেনা। অখাতে ও অপরিকল্পিতভাবে যাকাত দেয়ায় সেই যাকাতে না হচ্ছে প্রদানকারীর ফায়দা না গ্রহীতার ফায়দা। তাই সুষ্ঠভাবে সঠিক খাতে যাকাত প্রদান করা অত্যান্ত জরুরী।

বলা বাহুুল্য, যাকাত প্রদানের উসুল বা নিয়ম কানুন খোদ রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। স্বয়ং তিনি নিজেই ধনীদের থেকে যাকাত সংগ্রহ করে উপযুক্ত হক্বদারের কাছে পৌঁছে দিতেন। এছাড়া ধনীদের কাছ থেকে যাকাত সংগ্রহ করতে তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। আবার অনেক ধনী নিজেই যাকাত নিয়ে নবীজী উনার কাছে জমা দিয়েছেন।

যাকাত প্রদান ও আদায়ের এই ব্যবস্থার ধারাবাহিতা বজায় রাখতে পরবর্তী খলিফাগণ অত্যান্ত কঠোর ছিলেন। কেউ যাকাত দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে জিহাদ করার ঘোষনাও দিয়েছেন।

তাই যুগে যুগে যাকাত প্রদানকারীগণ নিয়ম অনুযায়ী সম্মানিত খলীফা উনার কাছে যাকাত পৌঁছে দিতেন। নিজের ইচ্ছে মতো যাকে খুশি তাকে বা নিজ আত্বীয়দের যাকাত দেয়া ছিলো নিয়ম বহির্ভূত। যাকাতের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার কারনে দারিদ্রতা এমনভাবে দূর হয়েছিল যে সেসময় যাকাত কে নিবে সেই লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছিল।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যাকাত দেয়ার সেই সঠিক নিয়ম ও ব্যবস্থাপনা জারি না থাকায় সমৃদ্ধি আসছেনা। যাকাত প্রদানকারী কোটি টাকা যাকাত দিয়েও বরকত লাভ করতে পারছেনা। আবার গ্রহিতাও সেই যৎসামান্য যাকাত নিয়ে কাজে লাগাতে পারছেনা।

যাকাত প্রদানের এই ভুল নিয়ম থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে  হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাকাত জমা করতে হবে। এখন খেলাফত নেই, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। তাহলে পবিত্র যাকাত গ্রহণের দায়িত্ব কে নেবেন?

প্রত্যেক যামানাতেই মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ পাঠিয়ে থাকেন। উনাকে তালাশ করতে হবে। কারন তিনিই মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক ও মহান আল্লাহ পাক উনার খলিফা বা প্রতিনিধি। উনার কাছেই যাকাত পৌঁছাতে হবে।

এখন প্রশ্ন আসছে, বর্তমান যামানার লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ কে? উনাকে চেনার উপায় কি?
যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে প্রতিনিধি হয়ে আসবেন উনার কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকবে যা আর কারো মধ্যে পাওয়া যাবেনা। যেমন-
১. তিনি শরীয়তের পরিপূর্ন পাবন্দ হবেন (অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হুকুম আহকাম শতভাগ আমল করবেন, যুগের সাথে তাল মেলাবেন না)। উদাহরণ- ছবি তোলা হারাম, তাই তিনি ছবি/ভিডিও তুলবেন না। উনার কোন ছবি/ভিডিও পাওয়া যাবে না। এছাড়া যে কোন বয়সের মেয়ে লোক উনার সাক্ষাৎ পাবে না।
২. তিনি মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পরিপূর্ন সুন্নতের আমল করবেন। অঢেল সম্পদের মালিক হলেও বিলাসিতা করবেন না।
৩. ইলমে শরীয়তের সাথে সাথে ইলমে তাসাউফ শিক্ষা দিবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য/সম্পর্ক স্থাপনের পথ দেখাবেন।
৪. হক্ব কথা প্রচার করতে দেশের শাসক কিংবা কোন শক্তির  পরোয়া করবেন না। শত্রুর ভয় করবেন না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক নিজেই উনাদের শানে আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন-
اَلَآ اِنَّ اَوْلِيَاۤءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَۚ   ( يونس: ٦٢ )
"সাবধান! আমার ওলীদের কোন ভয় নেই, উনারা চিন্তিতও হবেন না।" (পবিত্র সূরা ইউনুস: ৬২)

৫. সর্ব প্রকার হারাম, নাজায়েজ বা অনৈসলামিক কাজ থেকে মানুষদের সতর্ক করবেন। ইত্যাদি।

তাহলে বর্তমানে এমন কে আছেন, কোথায় পাওয়া যাবে? যাচাই করার দাযিত্ব আপনার, আমি বলে দিচ্ছি। উপরে বর্ণিত সমস্ত বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাবেন এমন একমাত্র ব্যাক্তিত্ব হচ্ছেন ঢাকার রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার যিনি মহাসম্মানিত শায়েখ উনার মধ্যে। তিনিই বর্তমান ১৫ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ। যার এযাবৎ কোন ছবি/ভিডিও নেই। যিনি পরিপূর্ণ শরীয়ত ও তরিকতের পথে অবিচল। অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া সত্তেও কোন বিলাসিতা নেই। পরিপূর্ণ সুন্নতী কায়দায় জীবন যাপন করেন। সর্বপ্রকার হারাম থেকে তিনি পবিত্র। তিনিই একমাত্র পবিত্র যাকাতের সুষ্ঠ ব্যবস্খাপনা করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ।

উনার কাছে যাকাত পৌঁছাতে সরাসরি আসতে হবে অথবা উনার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিমখানার একাউন্টে জমা দিতে হবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন- http://ahkamuzzakat.com

Comments