হারাম চর্চাকারীদের আল্লাহ পাক লাঞ্চিত করবেন

প্রসঙ্গ: ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের বিবস্ত্র ছবি তৈরী

প্রসঙ্গ: ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের বিবস্ত্র ছবি তৈরী

হারাম চর্চাকারীদের আল্লাহ পাক লাঞ্চিত করবেন

লেখা: এস হাবীব

 

“প্রাণীর ছবি তোলা হারাম”- পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত এ বিষয়টি অনেক মুসলিম নামধারী মানতে চায় না। বিভিন্ন যুক্তি তর্ক দিয়ে পবিত্র হাদীস শরীফ অস্বীকার করে ছবির পক্ষে বলে আসছে। নাউযুবিল্লাহ।

তবে পবিত্র হাদীস শরীফ অস্বীকারকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে সু-স্পষ্ট লাঞ্চনা। যার অংশ হিসেবে এসেছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ডিপফেইক প্রযুক্তি। সম্প্রতি টেলিগ্রাম এপে একটি নতুন বট এসেছে, যা পোশাক পরিহিত মানুষের ছবিকে খুব নিখুঁত উপায়ে বিবস্ত্র ছবিতে রূপান্তর করতে পারে, যেই কৃত্রিমতার পার্থক্য অনেকেই পক্ষে ধরা কঠিন। তাছাড়া এর ব্যবহার খুব সহজ, প্রযুক্তি সম্পর্কে স্বল্প বা ধারনাহীন ব্যক্তিও খুব সহজে কাজটা করতে পারবে। সাম্প্রতিক খবরে জানা যায়, ডিপফেইক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিগ্রাম এপসে প্রায় ১ লক্ষ নারী-পুরুষের ছবি বিবস্ত্র করে নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়, খুবই ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে।

পবিত্র কুরআন শরীফে বলা হয়েছে- মানুষ আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলুন, উভয়ের মধ্যেই রয়েছে মহাপাপ। যদিও তাতে মানুষের জন্যে কিছুটা উপকারিতাও রয়েছে কিন্তু তাতে উপকারের চাইতে পাপের মাত্রাই বেশি। (পবিত্র সূরা বাক্বারা : ২১৯)।

ঠিক একইভাবে প্রাণীর ছবির মধ্যে দৃশ্যত কিছু উপকার মনে হতে পারে। কিন্তু ছবির উপকারের থেকে অপকারই বেশি। প্রাণীর ছবি-ভিডিওর মাধ্যমে মানুষের চরিত্র যে বিপুল পরিমাণে ধ্বংস করা হয়েছে, তা আর অন্য কিছুর মাধ্যমে করা হয়নি।

মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে যে গণহারে ছবি প্রচার করে এটা বন্ধ হোক। তাছাড়া মানুষের পরিচয় নির্ধারণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি খুব সহজলভ্য হয়েছে, তাই সরকারী-বেসরকারী কাজেও ছবি ব্যবহার বন্ধ করা দরকার। কারণ সে সব ছবি সংগ্রহ কেউ যে নগ্ন ছবি তৈরী করবে না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে ?

Comments