নির্বাচিত লেখা- পবিত্র মু’জিযা শরীফ

Comments · 1020 Views

খলিক, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

 

 

খলিক, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার পরেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক যিনি যত বেশি লাভ করতে পেরেছেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা, ফযীলত, বরকত ও নয়িামত লাভ করেছেন।

মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক মহাপবত্রি নূরুত্ তাবারুক (স্পর্শ) মুবারকে চোখ সুস্থ:

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছেে হযরত কাতাদাহ রাদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু বলনে, সম্মানতি বদর জহিাদ উনার সময় আমার একটি চক্ষু মুবারকে আঘাত প্রাপ্ত হল। এক র্পযায়ে চক্ষু মুবারক খুলে মুখরে উপর ঝুলে এসে পরলো। তখন হযরত ছাহাবীহ রাদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহুম উনারা চক্ষু কটেে ফলোর ইচ্ছা পোষন করলনে । বষিয়টি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানানো হলে তনিি কাটতে নষিধে করলনে এবং আমাকে ডকেে আনা হল। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিি উনার মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক দয়িে আমার চক্ষু মুবারক আগরে স্থনে প্রতস্থিপন করে দলিনে, এতে করে আমার চক্ষু এমন ভাবে সুস্থ হয়ে গলে আমি বুঝতইে পারলাম না আগে আমার চোখে আঘত গলেছেলি । (দালায়লেুন নবুওয়াত শরীফ : ৩ য় খন্ড, ১০০ পৃষ্ঠা, মুসনাদে আবু ইয়ালা শরীফ : ৩ য় খন্ড, ১২০ পৃষ্ঠা, তারখিে ইবনে কাছরি ৩ য় খন্ড, ২৯১ পৃষ্ঠা)

মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক মহাপবত্রি নূরুত্ তাবারুক (স্পর্শ) মুবারকে আজীবন কালো চুল-দাঁড়ি মুবারক

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে,ে হযরত আমর বিন ছায়লাবা জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি দুহ্যালাহ্ নামক স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবত্রি সাক্ষাৎ মুবারক করলাম এবং মহাসম্মানতি দ্বীন ইসলাম উনাকে গ্রহণ করলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিি আমাকে দেেখ আদর মুবারক করেন এবং উনার মহাপবিত্র নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক আমার মুখের উপর মহাপবত্রি নূরুত্ তাবারুক (র্স্পশ) মুবারক করলনে। বর্ণনাকারী বলনে হযরত আমর বিন ছায়লাবা জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তনি ি একশত বছর বয়সে বছিাল শরীফ গ্রহন করনে । উনার মুবারক মুখ- দাঁড়ি ও মাথার যে সকল চুল মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুল শাগফরিাত (হাত) মুবারক উনার নূরুত্ তাবারুক (স্পর্শ) মুবারক পেয়েছিলো তা পবত্রি বছিালী শান শরীফ গ্রহনে পর্যন্ত সাদা হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক যিনি যত বেশি লাভ করতে পেরেছেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা, ফযীলত, বরকত ও নয়িামত লাভ করেছেন। আয় খ¦ালিক, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক আমাদরে সকলক ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক হাসলি করার তৌফীক দান আরুন । আমিন।

 

মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক উনার মহাপবত্রি নূরুশ শক্ব (আঙ্গুল) মুবারক থকেে ঝরনাধারার মত পানি প্রবাহতি হত:

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়ছে,ে হযরত জাবরি রাদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু বলনে সম্মানতি হুদাইবয়িায় হযরত ছাহাবী রদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু উনারা পপিাসার তীব্রতা চন্তিতি হয়ে পড়লনে । তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে একটি পাত্র পানি মুবারক ছলি । এই পানি মুবারক দয়িে তনি ি মহাপবত্রি নূরুল খুশূ’ (ওযূ) মুবারক করলনে আর সামান্য পানি মুবারক বাকি রইল । হযরত ছাহাবীহ রদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার মহাপবত্রি নূরুদ দারাজাত মুবারকে আরজী পশে করলনে, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপরান সম্মুখে পাত্র মধ্যে যে সামান্য পরমিানে পানি রয়ছেে তা ব্যতীত আমাদরে কাছে আর কোন পান ি নইে । যা আমরা পান করব এবং ওযূ করব ।

অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিি উনার মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক সইে পাত্রে উপরে রাখলনে, সাথ,ে সাথে উনার মহাপবত্রি নূরুশ শক্ব (আঙ্গুল) মুবারক থকেে ঝরনাধারার মত পানি প্রবাহতি হতে লাগল। আমরা সকলে পানি পান ও ওযূ করলাম । পরে হযরত জাবরি রাদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার কত জন পানি পান ও ওযূ করে ছলিনে । তনিি বলনে যদি আমরা একলক্ষও হতাম তাহলওে ঐ পানি মুবারক যথষ্টে হত । কন্তিু আমরা তরেশত ছলিাম ।

( পবত্রি বুখারী শরীফ ১ম খন্ড, ৫০৫ পৃষ্ঠা )

মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক উনার মহাপবত্রি নূরুশ শক্ব (আঙ্গুল) মুবারক থকেে ঝরনাধারার মত পানি প্রবাহতি সংক্রান্ত পবত্রি হাদীছ শরীফ ব্যাপক সংখ্যক হযরত ছাহাবী রদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু উনাদরে বর্ণনা সূত্রে প্রমাণিত।

আরো পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

হযরত আনাস রদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তনিি বলনে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পানির একটি পেয়ালা আনা হল। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিি ‘যওরাহ্’ নামক স্থানে ছিলেন,

অত:পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তনিি উনার মহাপবত্রি নূরুল মাগফরিাত (হাত) মুবারক পয়োলার উপরে রাখলনে, সাথ,ে সাথে উনার মহাপবত্রি নূরুশ শক্ব (আঙ্গুল) মুবারক থকেে ঝরনাধারার মত পানি প্রবাহতি হতে লাগল। আমরা সকলে পানি পান ও ওযূ করলাম । হযরত কাতাদাহ রাদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু তনিি হযরত আনাস রদ্বয়িাল্লাহ তায়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞেস করলনে মুবারক পানি পানে আপনারা কতজন ছিলেন, তিনি বললেন, তিনশত অথবা তিনশতের কাছাকাছি ছিলাম।

(পবত্রি মুসলিম শরীফ ) হাদিছ শরীফ নং ২২৭৯

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক যিনি যত বেশি লাভ করতে পেরেছেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা, ফযীলত, বরকত ও নয়িামত লাভ করেছেন। আয় খলিক, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক আমাদরে সকলক ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক হাসলি করার তৌফীক দান আরুন । আমিন।

 

 

লেখক:
খন্দকার মুহম্মদ আরীফ হাসান

শিক্ষার্থী:
মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা,
রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭।

নির্বাচিত লেখা:
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মহাসম্মানিত পবিত্র ১২ই রবিউল আউওয়াল শরীফ (১৪৪৫ হিজরী) উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘ফালইয়াফরাহু লেখা আহবান’ পর্বে নির্বাচিত লেখা।

আয়োজনে:
আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ (SM40.COM)

Comments