নিচের উল্লেখিত কয়েকটি হাদীছ শরীফ ছেক্বাহ রা’বী কর্তৃক বর্নিত এবং সহীহ্ হাদীছ শরীফের কিতাবে সংকলিত। কোন মুসলমানের পক্ষে এ হাদীছ শরীফগুলো অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
যারা জঈফ বলে অপপ্রচার চালায়, তাদের কাছে কোন প্রমানই নেই। আর কেয়ামত পর্যন্ত প্রমান ও করতে পারবে না।
হাদীছ শরীফগুলো হলোঃ
১ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ ও শবে বরাতে সমর্থন পাওয়া যায়। হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, ” উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম ! আপনি কি জানেন, লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাতে কি সংঘটিত হয়? তিনি বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! এ রাত্রিতে কি কি সংঘটিত হয়? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ রাতে আগামী এক বছরে কতজন সন্তান জম্মগ্রহণ করবে এবং কতজন লোক মৃত্যূবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে বান্দার (এক বছরের) আমলসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতে বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়সালা হয়”। (বাইহাক্বী, ইবনে মাজাহ্, মিশকাত শরীফ)
২ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ আরও ইরশাদ হয়েছে, ” উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাতযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়ত অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ এ ফিরে এলে তিনিও ফিরে এলেন এবং বললেনঃ আপনি কি মনে করেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন? আমি বললামঃ ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারনা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বণী কালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন”। (বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ, রযীন, মিশকাত শরীফ)
৩ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা’বান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রিতে ঘোষনা করেন যে, উনার সমস্ত মাখলুকাতকে ক্ষমা করে দিবেন। শুধু মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারী ব্যতীত।” (ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত শরীফ)
৪ নং হাদীছ শরীফঃ
হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে সুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষাণা করতে থাকেন।” (ইবনে মাযাহ্,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)
Search
Popular Posts
- ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পাশাপাশি আরেকটি দিবস পালন করা উচিত
- সহশিক্ষা, সহচাকরীর ভয়াবহতা: পৃথিবীজুড়ে নারী সংসদ সদস্যরা ব্যাপক হারে যৌন হয়রানির শিকার -আইপিইউ
- সহশিক্ষা, সহচাকরীর ভয়াবহতা: পৃথিবীজুড়ে নারী সংসদ সদস্যরা ব্যাপক হারে যৌন হয়রানির শিকার -আইপিইউ
- শবে বরাত আপনি কেন ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফে পালন করবেন?
- ‘ছেলেদের সাথে সহশিক্ষা, সহচাকরী পছন্দ করে না মার্কিন মেয়েরা’ -বৃটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা
Mohammad Mominurahman Kazal 2 yrs
সুবহানাল্লাহ