3 w

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
---------------------------------------

দু'আখিতে অশ্রুবিন্দু
হৃদয় জুড়ে দু:খের সিন্ধু
বিশ্বাসে নেই 'যদি কিন্তু'
বিপদে মোর আছেন বন্ধু

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
ইয়া মামদুহ ইয়া মামদুহ

আখলাকের আজ অধ:পতন
রঙ বদলে ব্যাস্ত জীবন
কোনো কিছুই হয়নি অর্জন
তবুও স্রেফ মিছেই গর্জন
ব্যার্থ দিলে মরু ধু - ধু
আশার আলো মালিক শুধু

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
ইয়া মামদুহ ইয়া মামদুহ

আপদ এলেই আল্লাহ-বিল্লাহ
এছাড়া নেই তওবা-তিল্লাহ
মুর্শিদ বিনে ইন্না-লিল্লাহ!
মুর্শিদ থাকলেই ফতেহ কেল্লা
সময় থাকতে সাবধান বুদ্দু
মিটিয়ে দে মায়ার জাদু

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
ইয়া মামদুহ ইয়া মামদুহ

আবদার করি শাহে সারকার
বানান আমায় ফরমাবরদার
অনেক হলো নিজের কারবার
শাহী সুযোগ দিন আরেকবার
শেষ বিচারের ভয়ে ভীতু
ডাকি মাওলা মৃদু মৃদু

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
ইয়া মামদুহ ইয়া মামদুহ

- মেসুত আল ফাহীম

image

3 w

দরদী শাহযাদা
-----------------------

এমন দরদী শাহযাদা
কোথাও পাবে না
যিনি ইয়াতীমের আপন হতে
খুজেন বাহানা

শাহে আক্বা আল আরাবী
সবার প্রতি খুব মায়াবী
যিনি গরীব দু:খীর মনের ব্যাথা
সইতে পারেন না
এমন দরদী শাহযাদা
কোথাও পাবে না

অ-কাতরে বিলান করম
আদর সোহাগ বাটেন চরম
যিনি যাকে তাকে এক পলকে
বানান দিওয়ানা
এমন দরদী শাহযাদা
কোথাও পাবে না

শাহানশাহী শান আলীশান
মুছিবতে খুব মেহেরবান
যিনি অসহায়ের তরে করেন
সবচেয়ে করুণা
এমন দরদী শাহযাদা
কোথাও পাবে না

প্রাণের প্রিয় খলীফাজী
সদা শোনেন সকল আরজী
যিনি ফায়িজ দিয়ে শান্ত রাখেন
আহত সিনা
এমন দরদী শাহযাদা
কোথাও পাবে না

- মেসুত আল ফাহীম

image

2 w

নেককাররা তিনভাবে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে:

১. নিজের জিহ্বাকে কারাবন্দী রাখার মাধ্যমে।
২. বিরতিহীনভাবে ইস্তিগফার করার মাধ্যমে।
৩. নির্জনবাসে থাকার মাধ্যমে।

~ সুফিয়ান আস-সাওরী রাহিমাহুল্লাহ।

image

2 w

ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ: সময়ের দাবি
---------------------------------------------------

রাজধানী ঢাকা আজ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। কোটি কোটি মানুষের এই নগরী প্রতিদিন হাঁপিয়ে উঠছে নিজের বোঝা বইতে গিয়ে। যানজট, দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন আর অব্যবস্থাপনার এক জটিল জালে আটকে আছে এই শহর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন ঢাকা এমন পরিণতির মুখোমুখি? এর সহজ উত্তর হলো, অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণ।

কেন্দ্রীকরণের কুফল:

ঢাকায় কেন্দ্রীভূত রয়েছে দেশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর, উচ্চ আদালত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং দেশসেরা সরকারি হাসপাতালগুলো। এই কেন্দ্রীকরণ শুধু প্রশাসনিক সুবিধার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি তৈরি করেছে এক বিশাল কালোবাজার, যেখানে দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে প্রতিটি স্তরে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বড় বড় কোম্পানি, ব্যাংক, বীমা, শিল্প-কারখানা সবকিছুই ঢাকাকেন্দ্রিক। ফলে এই শহরে গড়ে উঠেছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এবং অবৈধ আয়ের এক সুবিশাল কালো বাজারে। রাজনৈতিক দলগুলোর অবৈধ অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুও এই ঢাকা। শহরের প্রতিটি ইঞ্চি আজ দখল হয়ে আছে এই অসাধু চক্রের হাতে।

বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে ঢাকা:

অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা আজ বসবাসের জন্য ক্রমশ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। যত্রতত্র গড়ে উঠছে উঁচু দালানকোঠা, ভরাট হচ্ছে খাল-বিল, নষ্ট হচ্ছে নদী-নালা। এর ফলে, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবদ্ধতা, গ্রীষ্মে তীব্র গরম, শীতে ধুলোবালি এসব যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার করুণ চিত্র আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন লাখো মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকেন। উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় নাগরিকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। অথচ, সরকারি বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় হয় এই একটি শহরের পেছনে, বঞ্চিত হয় দেশের বাকি শহর ও জনপদ।

বিকেন্দ্রীকরণই একমাত্র সমাধান:

ঢাকার এই দুর্দশা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হলো বিকেন্দ্রীকরণ, সহজ ভাষায় বলতে গেলে "ঢাকাকে ফাঁকা করা"। প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সারাদেশে। বিভাগীয় শহরগুলোতে স্থাপন করতে হবে উচ্চ আদালতের শাখা, আঞ্চলিক প্রশাসনিক কেন্দ্র এবং আধুনিক হাসপাতাল। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও মোমেনশাহীকে পরিণত করতে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ শহরে।

বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করতে হবে ঢাকার বাইরে বিনিয়োগের জন্য। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্পাঞ্চল এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্র (হাব) গড়ে তুলতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে একদিকে যেমন ঢাকার ওপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সারাদেশে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।

এখনই সময় পদক্ষেপ নেওয়ার:

বিকেন্দ্রীকরণ একজন অত্যন্ত জরুরী এবং জাতীয় প্রয়োজনে রূপ নিয়েছে। এই কাজে দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি সুপরিকল্পিত বিকেন্দ্রীকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকা আবার পাবে তার হারানো গৌরব, আর সারাদেশ হবে সুষম উন্নয়নের অংশীদার।

- মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম

image

1 w

পবিত্র রমাদ্বান মাসের পূর্বে বাজার উর্ধ্বমুখী কেনো? এর দায় কার?
-------------------------------------------------------------

পবিত্র রমাদ্বান মাস হচ্ছেন- শাহরুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মাস। এই মহান মাস উনাকে সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম করা সমস্ত মুসলমান, জিন-ইনসান সকলের জন্য ফরয।

এই মাস উনাকে কেন্দ্র করে মুসলিম উম্মাহ’র মাঝে অন্যরকম একটা আমেজ তৈরী হয়। প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে যেন ইবাদত বন্দেগীর উৎসব শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে এই সম্মানিত মাহিনা উনাকে কেন্দ্র করে নিত্য-প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী থেকে শুরু করে সব কিছুতে ব্যাপক ছাড় দেয়া হয়।

অথচ, এক্ষেত্রে আমাদের দেশের চিত্র পুরোপুরি উল্টা। রমাদ্বান মাস আসার কয়েকমাস আগ থেকে (অর্থাৎ এখন থেকেই) বাজারের দাম উধ্বমুখি। প্রত্যেকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম কোনো কারণ ছাড়াই বেড়ে যাচ্ছে। ৯৮ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে যা কখনোই বরদাশত যোগ্য নয়।

সম্মানিত রোজাদ্বার উনাদের জন্য যেখানে বাজারকে সহজলভ্য করা দরকার ছিলো সেখানে দেখা যাচ্ছে পুরোই বিপরীত চিত্র। এর দায় কার? এর দায় রাষ্ট্রের! এর দায় সরকারের!

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন পরিস্থিতি তৈরী হওয়া কখনোই সম্ভব না। সরকারের নিরব ভূমিকা এবং গোপন সমর্থনের ফলেই বর্তমান বাজারে সিন্ডিকেটের ব্যাপক আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অতএব, সরকার যদি অতিসত্ত্বর এ ব্যাপারে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে সরকারকে কঠিন কাফফারা আদায় করতে হবে। মনে রাখতে হবে, "আল্লাহ পাক ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।"

- মুহম্মদ মাসউদুর রহমান ফাহীম

image

1 w

জীবিতদের যেমন খাবার প্রয়োজন, মৃতদের তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন দোয়ার।

ইয়া মালিকে মাওলা! কবরবাসীদের মাফ করে দিন। ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 🌹

1 w

শীতের চুই পিঠা

image
image
image

6 d

দু'আখিতে অশ্রুবিন্দু
হৃদয় জুড়ে দু:খের সিন্ধু
বিশ্বাসে নেই 'যদি কিন্তু'
বিপদে মোর আছেন বন্ধু

ইয়া মামদুহ শাইয়্যান লিল্লাহ
ইয়া মামদুহ ইয়া মামদুহ ❤️

image

4 d

এত মুহব্বত করেন মালিক
সব-ই খবর পাই
তবুও খুব গাফিল এই সালিক
শুকরিয়া যে নাই

image