প্রচুর দোয়া করছেন, কাঁদছেন, ভাবছেন, বলছেন, মুনাজাতে অশ্রুর টইটম্বুর ঘটছে তবুও কেন যেন দোয়া কবুল হচ্ছে না। অধীর আগ্রহে বসে আছেন। অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। বুক ফাঁটছে, কিন্তু মুখ ফাঁটছে না। কেউ জানছে না, আপনি কাঁদছেন। নীরবে, নিভৃতে রবের সহিত একান্ত আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিত না হলেও, অনিয়মিত। অশান্ত মনকে শান্ত করবার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সবর শিখছেন।
আপনি হয়তো জানেন'ই না, রব আপনার দোয়া অনেক আগেই কবুল করে ফেলেছেন। শুধুমাত্র আপনার 'সবর' এর মাত্রা বা পরিস্থিতি দেখছেন।
পরীক্ষায় কখনো ফার্স্ট হয়েছেন? নয়তো কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন?
মনে আছে, প্রথম স্থান অধিকারীর নাম নেওয়ার পূর্বে শিক্ষক বা উপস্থাপক কিছুক্ষণ সময় নেন।
"প্রথম স্থান অধিকারী হচ্ছে......" বলে লম্বা একটা সময় নিয়ে সবাইকে টেনশনে ফেলে দেন। সবাই কেবল বিড়বিড় করে রবকে ডাকে সেই মুহুর্তে, দেখেছেন কখনো?
জ্বি, সামান্য ওই বিরতিটা'ই বোধকরি চলছে আপনার জীবনে। আল্লাহ্ তাঁর গোলামের দোয়া কবুল করার ক্ষেত্রে একটু সময় তো নিতেই পারেন। তাই না?
লেখা : সংগৃহীত
#sirah

৩রা রজবুল হারাম শরীফ 
--------------------------------
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ 
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, 
ক্বায়িম মাক্বামে সিবতাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 
সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম
আর রবি'য়াহ আলাইহাস সালাম। 
----------------------------------
আর একজন হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ , সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন , হাবীবাতুল্লাহ,  ক্বায়িম মাক্বামে সিবতাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। 
সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উম্মাম আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম । 
উনারা উভয়ই হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম আম্মাজি ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদের নাতনী। 
আর উনাদের সম্মানিত মাতা হচ্ছেন নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনাদের সম্মানিত পিতা হচ্ছেন, 
শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি । 
উনারা দুইজনই সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন, 
৩রা রজবুল হারাম শরীফ  ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ । 
অনেক ফযিলত মুবারক হচ্ছেন উনাদের। উনাদের নিসবতটা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম আম্মাজি ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদের সাথে । সুবহানাল্লাহ 

উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম। 
-----------------------------------
উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সংখ্যায় ১৩ জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার দিক থেকে উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ১৩ তম। এজন্য উনাকে আরবীতে বলা হয় আছ ছালিছাহ আশার অর্থাৎ ১৩ তম। 

উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক হচ্ছেন, 
উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত 
( মাইমূনাহ আলাইহাস সালাম ) 

উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মাবারক হচ্ছেন, ( হযরত হারিছ বিন হাযান আলাইহিস)  সালাম উনার সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হচ্ছেন, (  হযরত হিন্দা বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম ) 

উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি 
সাইয়্যিদুনা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের 
সম্মানিতা খালা ছিলেন।

উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস সম্পর্কে সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, 
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত নবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ৩১ বছর পূর্বে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ৩ তারিখ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াম শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মক্কা শরীফে তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ 
এবং 
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন, ৭ম হিজরী সনের যিলক্বদ শরীফ উনার ১৬ তারিখ পবিত্র মক্কা শরীফে।  সেই সময় উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন  ৫০  বছর ৪ মাস ১৩ দিন। 

বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত মুবারক হচ্ছেন উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার। 

সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, 
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি 
শুধু যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন 
এছাড়া সমস্ত শান মান ফাযায়িল ফযিলত সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। 
সুবহানাল্লাহ। 

উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি 
মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখতেন, 
উনার অভ্যাস ছিল তিনি দাস দাসী ক্রয় করে মুক্ত করে দিতেন । এজন্য তিনি মাঝে মাঝে ধার কর্জ পর্যন্ত করতেন। একবার তিনি খুব বড় অংকের অর্থ কর্জ করেন উনাকে যখন জিজ্ঞেস করা হল আপনি এতো বড় অংকের কর্জ কিভাবে পরিশোধ করবেন?  উত্তরে তিনি বলেছিলেন কোন লোকের যদি সদিচ্ছা থাকে যে, সে ধারকৃত টাকা পরিশোধ করবে তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ। 

তিনি ছিলেন নারী জাতির আদর্শ দ্বীন সংক্রান্ত বিষয়ে এবং আখলাখে ইলাহি অর্জনের জন্য তিনি নারী সমাজকে সব সময় নছিহত মুবারক করতেন।
 তিনি হিজরী ৭ম সন থেকে হিজরী ৫১ সনে বিছালী শান মুবারক প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৪৪ বছর উম্মুল মুমিনীন হিসেবে আম জন সাধারনের মধ্যে এবং খাছভাবে মহিলাগনের মধ্যে তালিম তরবিয়তে ব্যপৃত ছিলেন। উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার বিছালী মুবারক সম্পর্কে বলা হয়। 
পবিত্র মক্কা শরীফে তিনি মারিদ্বী শান মুবারক গ্রহন করেন । 
ধিরে ধিরে তা প্রকট হতে থাকে 
তখন তিনি বললেন আমাকে তোমরা মক্কা শরীফ উনার বাইরে নিয়ে যাও পবিত্র মক্কা শরীফে আমার বিছালী শান মুবারক হবে না। 
কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন, মক্কা শরীফে আমার বিছালী শান মুবারক হবে না। 
তখন উনাকে সারফ নামক স্থানে সেই গাছটির নিকট নিয়ে যান। 
যেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একটি তাবুতে নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর 
উনার মুবারক খিদমতে তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছিলেন।
অতঃপর ঐ স্থানটিতেই উনার বিছালী শান মুবারক হয়ে যায়। 
দিনটি ছিল যিলহজ্ব শরীফ উনার ১৯ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক হয়েছিলেন 
৯৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন। 

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার জানাজার নামায পড়ান এবং এই স্থানেই উনার রওযা শরীফ স্থাপন করা হয়। 

বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত সম্মান মুবারক উনার 
উনার যখন জিসিম মুবারক যখন খাটিয়ায় উঠানো হয় 
তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, 
সাবধান ইনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাওজাতুম মুকাররমা এবং তিনি হচ্ছেন উম্মুল মুমিনীন অর্থাৎ মুমিনগনের মাতা। 
খুব আদবের সাথে উনাকে নিয়ে চলবেন। সুবহানাল্লাহ। 
--------------------------------------------
অনেক ফযিলত হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের। 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত বুযূর্গী সম্মান খুছুছিয়ত বৈশিষ্ট মুবারক সম্পর্কে 
যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন , 

মুসলিমাতিম মুঃমিনাতিন কনিতাতিন তাইয়্যিবাতিন আবিদাতিন সাইয়্যিহাতিন। 
অর্থাৎ 
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই আত্মসমর্পণকারিণী , এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি উনারা  প্রত্যেকেই বিশ্বাসস্থাপনকারীনি , আবার উনারা প্রত্যেকেই অনুগতা , আবার প্রত্যেকেই তাওবাকারীণি , উনারা প্রত্যেকেই ইবাদতকারীণি , আবার উনারা প্রত্যেকেই রোযাদার।  সুবহানাল্লাহ। 

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন, 
উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছিফত মুবারক সম্পর্কে । 

.অসংখ্য অগনিত ছিফত মুবারক উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত সৃষ্টিকে দয়া করে জানিয়ে দিয়েছেন।
 কয়েকটি ছিফত মুবারক সম্পর্কে । 
কেন বলেছেন ? 
যেন বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশান তারা এগুলো উপলব্ধি করে উনাদেরকে তাযিম তাকরীম মুবারক করতে পারে , 
উনাদের খিদমতের আনজাম দিতে পারে , উনাদের ছানা ছিফত করতে পারে। উনাদের শানে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষন করতে পারে। 
এগুলো করে তারা যেন উনাদের নিসবত কুরবত রেযামন্দি সন্তুুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে। সুবহানাল্লাহ । 
ছিফতগুলো হলো , মহান আল্লাহ পাক 
তিনি বলেছেন , 

মুসলিমাতিন
উনারা মুসলমান , 
অর্থাৎ মুসলমানিত্বের যে মাক্বাম সেটার মুল মালিক এবং অধিকারী হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। 
অর্থাৎ উনাদের প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনলেই মানুষ মুসলমান হতে পারে। 
সুবহানাল্লাহ। এরপরে বলেদিচ্ছেন , 

মুঃমিনাতিন 
উনারা ঈমানদার। 
অর্থাৎ মু'মিন হওয়ার ঈমানদার হওয়ার যে মুল মাক্বাম সেটারও মূল মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম  উনারা।  সুবহানাল্লাহ। 
অর্থাৎ উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বিদা পোষন করলেই সে হাক্বীক্বী ঈমানদার হতে পারবে। 
সুবহানাল্লাহ। এরপর বলেদিচ্ছেন , 

কনিতাতিন 
এখানে কনিতাতিন এই সম্মানিত লফয মুবারক উনার একাধিক অর্থ। 
একখানা অর্থ মুবারক হচ্ছেন অনুগতা। অর্থাৎ  নামায রোযা ইবাদত বন্দেগী যারা বেশি করে থাকেন, উনাদের মূল হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ । 
অর্থাৎ উনাদের প্রতি হুসনে যন বিশুদ্ধ আকিদা রাখলেই মানুষ বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী নামায কালাম ইত্যাদি আদায় করতে পারবে। 
সুবহানাল্লাহ । এরপর বলেদিচ্ছেন , 


তাইয়্যিবাতিন
খালেছ তওবাকারী। তওবাকারীর অনেক অর্থ।  একখানা অর্থ হচ্ছে,  প্রত্যাবর্তনকারী অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব মাহবুব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে প্রত্যাবর্ত করতে হবে। এই তওবার যে মাক্বাম 
সেটার মূল মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ। 
অর্থাৎ উনাদের সাথে খাছ নিসবত কুরবত মুহব্বত রাখলেই সমস্ত বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশানের পক্ষে খালিছ তওবা করা সহজ এবং সম্ভব হবে । 
সুবহানাল্লাহ ।  এরপর বলে দিচ্ছেন, 

আবিদাতিন খালিছ আবিদ। 
অর্থাৎ আবদিয়াতের যে মাক্বাম 
সেই সম্মানিত মাক্বাম মুবারক উনার মূল মালিক এবং অধিকারী হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা । সুবহানাল্লাহ। 
অর্থাৎ উনাদের নিসবত কুরবত মুহব্বত যদি হাছিল করা যায় ,  তাহলে আবদিয়াতের মাক্বাম হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ । এরপর বলে দিচ্ছেন, 

সাইয়্যিহাতিন অর্থাৎ ছমাদিয়াত। 
এই ছমাদিয়াতের মাক্বামেরও মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ। 
যারা উনাদের সাথে নিসবত রাখবে উনাদের কুরবত হাছিল করবে শুধু তাদের পক্ষেই একমাত্র এই ছমাদিয়াতের মাক্বামের হিসসা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে। 
সুবহানাল্লাহ । 

---------------------------------------------

এখানে ফিকিরের বিষয় হলো উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এই ছিফতগুলো কে বর্ননা করেছেন ?  
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই বর্ননা করেছেন। তিনি কি বলেছেন ? 
তিনি বলেছেন উনারা মুসলমান। আবার বলেছেন উনারা ঈমানদার। আবার বলেছেন উনারা অনুগতা।  উনারা খালিছ তওবাকারী উনারা খালিছ আবিদ আবার ছমাদিয়াতের মাক্বামটাও উনাদের। 
সুবহানাল্লাহ। 
এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কাউকে বলেন, 
তিনি মুসলমান তাহলে উনারা কোন পর্যায়ের মুসলমান হবেন।  আবার যদি তিনি কাউকে ঈমানদার বলেন, কাউকে তওবাকারী বলেন,  কাউকে আবিদ ইবাদতকারী বলেন, তাহলে উনারা কোন পর্যায়ের ঈমানদার তওবাকারী আবিদ হবেন এটা চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয়। 
সুবহানাল্লাহ। 
মূলত উনাদেরকে মুহব্বত করেই মানুষ জিন ইনসান তারা মুসলমান হয়, ঈমানদার হয়,  তওবাকারী হয়, ইবাদতকারী হয়। শুধু এতোটুকুই নয় উনাদেরকে মুহব্বত করতে পারলে বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশান তারা সর্বদিক থেকে কামিয়াবী লাভ করতে পারবে। 
সুবহানাল্লাহ। 

কাজেই যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বী ভাবেই মুহব্বত করার তাওফিক দান করেন, 
উনাদের মুহব্বতটা আমাদের অন্তরে পরিপূর্ণ করে দেন। উনাদের মুহব্বতে, ধ্যানে খেয়ালে মশগুল থাকার তাওফিক দান করেন, এবং উনাদের মুহব্বত আমাদের অন্তরে রিযিক করে দেন। 
সুবহানাল্লাহ। 

image

image

🕋ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড়সম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আউওয়াল’ তথা প্রথম। তাই উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!
🌷নিম্নে এক নজরে উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো,
🌹সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম।
🌹সম্মানিত লক্বব মুবারক: ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আউওয়ালু আওলাদি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আর্বারু, আল আজওয়াদ, আন নূরুল আউওয়াল এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
🌹যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🕋মহাসম্মানিত আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
🕋মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🕋মহাসম্মানিত দাদাজান আলাইহিস সালাম: আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🕋মহাসম্মানিতা দাদীজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় সাড়ে ১২ বছর পূর্বে ২রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹সম্মানিত অবস্থান মুবারক: সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম: মহাসম্মানিত চার ভাই আলাইহিমুস সালাম এবংমহাসম্মানিতা চার বোন আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🌹সম্মানিত ভাই উনাদের মধ্যে উনার সম্মানিত অবস্থান মুবারক: আউওয়াল তথা প্রথম। তাই উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে উনার সম্মানিত অবস্থান মুবারক: প্রথম। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ১০ বছর ৮ মাস পূর্বে ২রা রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ভোর রাত্রে। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক: পূর্ণ ২২ মাস। আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: সম্মানিত মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

image

🌺এক নজরে- আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক-

🕋 সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🌹সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: আবূ মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ কুছাম আলাইহিস সালাম।
🌹সম্মানিত লক্বব মুবারক: যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ, আফযালুন নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব ইবনে হাশিম আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন সমগ্র আরব ও সম্মানিত কুরাঈশ উনাদের সকলের সাইয়্যিদ এবং পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ বিনতে ‘আমর আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🌹বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাতে)। সুবহানাল্লাহ!
🌹সম্মানিত দ্বীন: সাইয়্যিদুনা হযরত হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দ্বীন অর্থাৎ দ্বীনে হানীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ!
🌹বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
🌹সম্মানিত দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক : ২৫ বছর ৬ মাস। সুবহানাল্লাহ!

image

🕋মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’ সুবহানাল্লাহ!
❤️আজ বেমেছাল বরকতময় ১লা রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীম দিবস। সুবহানাল্লাহ!
🌹আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এই মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফেই আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, সাকীনাপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই বৎসর ১লা রজবুল হারাম শরীফ বার হিসেবে ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! সেই দিন স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সাথে সাথে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং সমস্ত কায়িনাত সকলেই সেই দিন পবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ’ শরীফ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
🌹আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার বনী আদি বংশের যাহরা গোত্রে হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন করেছিলেন সেই গোত্রের বিনতু ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাদের উভয়েরই নানীর বাড়ি ছিলেন পবিত্র মদীনা শরীফ। পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মধ্যেই নিসবাতুল আযীম শরীফ মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ওই দিনেই অর্থাৎ ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমুয়াহ বা পবিত্র জুমুয়াহ উনার রাত্রিতে মিনার নিকটে শি’বে আবী তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়। আর সেই মুবারক রাত্রিতেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। যার কারণে এ মুবারক রাত্রিটি সারা বিশ্বে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ হিসেবে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!

image

🌹সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল হুদা পেশওয়ায়ে আহলে ইয়াকীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক-
🌹সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ১২ জন ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ইমামুল খমিস তথা ৫ম ইমাম। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এক নজরে উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-
🌹 মহাসম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক: হযরত মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম।
🌹মহাসম্মানিত কুনিয়াত মুবারক: আবূ জা’ফর আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
🌹মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
🌹মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা মেয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আব্দিল্লাহ ফাতিমা আলাইহাস সালাম।
🌹মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: ৬৭ হিজরীর পবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ, পবিত্র জুমুয়াহ শরীফ।
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত মহাপবিত্র মদিনা শরীফ।
🌹মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ১১৭ হিজরীর পবিত্র ৭ই যিলহজ্জ শরীফ, পবিত্র ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ।
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত স্থান মুবারক: সিয়ারুস্ ছাহাবা-৭/৪৭৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে যে, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল মুসলিমীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাকামে হামীয়ায় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
🌹মহাসম্মানিত দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক: ৫০ বছর ৫ মাস ৬ দিন।
🌹মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: পবিত্র মদীনা শরীফ উনার পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফে। উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার পাশে অবস্থিত। (ইকতিবাসূল আনওয়ার-১৩৫, মিরয়াতুল আসরার-২০৯, সাফীনাতুল আউলিয়া-৩৯, ইবনে খালকান-১/৪৫০)

image

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “(মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) তাদেরকে (বান্দা-বান্দীদেরকে) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক ও রাত মুবারকগুলো স্মরণ করিয়ে দিন। (যাতে তারা সে সব দিন ও রাতসমূহ উদযাপন বা পালন করতে পারে।)” সুবহানাল্লাহ!

২রা রজবুল হারাম শরীফ

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

image