১২ রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য

আক্বিকা মুবারকের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

১২ রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য

লেখা: এস হাবীব

 

১২ রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য আক্বিকা মুবারকের দ্বীনি ফায়দাসহ রয়েছে বহুমুখী ফায়দা।

প্রথমত, আপনি যখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আক্বিকা শরীফ উপলক্ষে পশু জবাই করবেন, তখন তা মুবারক খিদমতে আপনার পক্ষ থেকে একটি হাদিয়া হবে। আর এই হাদিয়ার জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আপনার একটি বিশেষ নিসবত মুবারক হবে। উনার সাথে নিসবত মুবারক হলে দুনিয়া ও আখিরাতে এর থেকে বড় কামিয়াবী আর নাই।

দ্বিতীয়ত, ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ উপলক্ষে সবাই চায় মানুষকে মেহমানদারী করাতে। গরীব-দুঃখীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে খাওয়াতে। তাবারুক রান্না করতে। মনে রাখবেন- তাবারুক রান্না করার ৮০% খরচ হচ্ছে গোশতের খরচ। তাই আক্বিকা শরীফের গোশত থাকলে তাবারুক রান্নার ৮০% খরচ উঠে আসে।

তৃতীয়ত, আক্বিকা শরীফের বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারে না। এ বিষয়টি মানুষকে বুঝানোর দরকার আছে। বিশেষ করে পশুটি ১-২ দিন আগে ক্রয় করে আক্বিকা শরীফের বিষয়টি মানুষকে জানানো দরকার। এজন্য একটি ব্যানার ব্যবহার করতে পারেন, পশুর পাশে ঝুলানো একটি ব্যানারে লেখা থাকবে- “আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে আক্বিকার জন্য পশু।” পশুটি ব্যানারসহ রাস্তায় মিছিল বা প্রদর্শনী করার দরকার আছে। এতে সাধারণ মানুষ জানবে। আপনার আমলটি দেখে সামনের বছর অন্যারা সেই আমলটি করতে পারে। অনেকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে আক্বিকার জন্য সবচেয়ে বড় গরু, মহিষ বা উট জবাই করতে পারে। একটা সময় মানুষ মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে শুধু মিষ্টি, নিমকী তাবারুক হিসেবে দিতো। কিন্তু এখন আপনার পোলাও-গোশতের উত্তম তাবারুক দেখেও অনেকে তাও শুরু করছে। আপনি আক্বিকার বিষয়টি শুরু করেন, প্রচার করেন, দেখবেন একটা সময় অনেকেই তা চালু করবে।

অনেকে ভাবে, কসাইয়ের দোকান থেকে গোশত নিলেই তো সস্তা হয়, ঝামেলাও কম। তাদেরকে বলবো- ইউরোপ-আমেরিকায় কুরবানী ঈদে গোশত কেনার নিয়ম আছে। তাদের দেখে কুরবানীর আমেজ আসে না। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা কুরবানীর পশু ক্রয় করে ১-২ দিন রাখি। সেটা নিয়ে আনন্দ হয়। গোশতের দাম পরে কেজি প্রতি এক হাজার, বারোশ’ টাকা। তারপরও মানুষ তা করে। কোরবানীর ঈদে যে দ্বীনি আমেজ তৈরী হয়, সারা বছর গোশত খেলে সেই আমেজ তৈরী হয় না।

তাই আপনি যদি চান সমাজে ব্যাপকভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চালু হোক, তবে এর জন্য পবিত্র নাম মুবারকে পশু আক্বিকার জন্য পশু ক্রয় করুন এবং মানুষের মাঝে এ আমলটি প্রচার করুণ। এর মাধ্যমে ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাহফিলেরই ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে।

Comments