কাফের মুশরেকদের চক্রান্ত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু খালিক মালিক মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আরশে আজিমের মালিক সমস্ত সৃষ্টি মাখলুকাতের মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সকল মুসলমানদের সুন্নত মোবারক জয়তুন তেল ব্যবহার করার তৌফিক দান করুন সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম

image
Marium Jannat Jannat changed her profile cover
25 m

image
Marium Jannat Jannat changed her profile picture
25 m

image

9 hrs

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৪০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَنْ يَّكْفُرْ بِالْاِيْمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهٗ وَهُوَ فِى الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
অর্থ: “যে ব্যক্তি ঈমানের পরিবর্তে কুফরী করবে, তার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সাথে শরীক করার গুনাহ্ ক্ষমা করেন না অর্থাৎ যারা উনার সাথে শরীক করে তাদের গুনাহ্ ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য গুনাহ্ যাকে ইচ্ছা তাকেই ক্ষমা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৮ এবং ১১৬)
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَانِ مُوْجِبَتَانِ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا الْمُوْجِبَتَانِ قَالَ مَنْ مَّاتَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ وَمَنْ مَّاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুটি বিষয় দুটি জিনিসকে (জান্নাত ও জাহান্নামকে) ওয়াজিব বা আবশ্যক করে দেয়। একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন— ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই দুটি বিষয় কি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কাউকে শরীক করে মারা যাবে, সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কাউকে শরীক না করে মৃত্যু বরণ করবে, সে অবশ্যই সম্মানিত জান্নাত মুবারক—এ প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৯)
আল্লামা হযরত ইবনে কাছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লিখেন—
اَنَّ اَبَا لَهَبٍ قَالَ لِسَيِّدِنَا حَضْرَتْ خَاتِمِ الْمُهَاجِرِيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْعَبَّاسِ عَلَيْهِ السَّلَامُ) اِنَّهٗ لَيُخَفَّفُ عَلَىَّ فِىْ مِثْلِ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ قَالُوْا لِاَنَّهٗ لَمَّا بَشَّرَتْهُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِمِيْلَادِ اِبْنِ اَخِيْهِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِبْنِ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَعْتَقَهَا مِنْ سَاعَتِهٖ فَجُوْزِىَ بِذٰلِكَ لِذٰلِكَ
অর্থ: “আবূ লাহাব সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম উনাকে বললো, (হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাই!) অবশ্যই এই কঠিন আযাব থেকে আমাকে প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) রুখছত দেয়া হয়। আল্লামা হযরত সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং অন্যান্য হযরত ইমাম—মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি আবূ লাহাবকে দেন। তৎক্ষণাৎ সে খুশিতে উনাকে মুক্ত করে দেয়। এই কারণে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন তাকে আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয় এবং তার শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝখান থেকে ঠান্ডা শীতল পানি প্রবাহিত হয়। এটাই সে চুষে চুষে পান করে। ফলে তার এক সাপ্তাহের আযাব হালকা হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ১/৩৩২, মাছাবাতা বিস সুন্নাহ্ ১/৮৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৮)
এই প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاَيْتُ اَبَا لَـهَبٍ فِـى النَّارِ يَصِيْحُ اَلْعَطَشَ اَلْعَطَشَ فَيُسْقٰى مِنَ الْمَاءِ فِـىْ نُقْرِ اِبْـهَامِهٖ فَقُلْتُ بِـمَ هٰذَا فَقَالَ بِعِتْقِىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ الْاُوْلـٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) لِاَنَّـهَا اَرْضَعَتْكَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আবূ লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে— পানি! পানি! পিপাসা! পিপাসা! তাকে পানি দেওয়া হচ্ছে তার বৃদ্ধাঙ্গুল ও শাহাদাত আঙ্গুল দুই আঙ্গুলের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। (সামান্য পানি দেওয়া হচ্ছে। সে পান করলো। এতে তার এক সপ্তাহের যে আযাবটা মনে হলো দূর হয়ে গেছে। এটা দেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি তো সব কিছু জানেন, উম্মতকে তা’লীম দেওয়ার জন্য বলেন—) আমি বললাম, এই কাট্টা কাফির আবূ লাহাবকে ঠাণ্ডা পানি দেওয়া হচ্ছে কী কারণ? আবূ লাহাব বললো, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে মুক্ত করার কারণে এই ফায়দা পাচ্ছি। কেননা তিনি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখে ইয়াকুবী ১/৩৬২)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৭)
ফাতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারীসহ আরো অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,
وَذَكَرَ حَضْرَتْ اَلسُّهَيْلِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ خَاتِمَ الْمُهَاجِرِيْنَ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْعَبَّاسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ) قَالَ لَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ رَاَيْتُهٗ فِىْ مَنَامِىْ بَعْدَ حَوْلٍ فِىْ شَرِّ حَالٍ فَقَالَ مَا لَقِيْتُ بَعْدَكُمْ رَاحَةً اِلَّا اَنَّ الْعَذَابَ يُخَفَّفُ عَنِّىْ كُلَّ يَوْمِ اثْنَيْنِ قَالَ وَذٰلِكَ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُلِدَ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ وَكَانَتْ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بَشَّرَتْ اَبَا لَهَبٍ بِمَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاَعْتَقَهَا
অর্থ: “হযরত ইমাম সুহাইলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আবূ লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখি যে, সে অত্যন্ত কঠিন শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে। সে বললো, (হে আমার সম্মানিত ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম!) আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমি কোনো শান্তির মুখ দেখিনি। তবে হ্যাঁ; প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) আমাকে আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয়, আমি শান্তিতে থাকি। তিনি বলেন, আবু লাহাবের এই আযাব রুখছত হয়ে শান্তিতে থাকার কারণ হচ্ছে— নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ আনেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ নিয়ে আবূ লাহাবের বাঁদী সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি আবূ লাহাবকে জানালেন, তখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ শুনে আবূ লাহাব খুশি হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে তৎক্ষণাৎ আযাদ করে দেয়।” সুবহানাল্লাহ! (ফতহুল বারী ৯/১১৮, উমদাতুল ক্বারী ২০/৯৫, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ ১ম খন্ড, শরহুয যারকানী ১/২৬০ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৬)
সেটাই বুখারী শরীফ ও অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ عُرْوَةُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) مَوْلَاةٌ لِاَبِىْ لَهَبٍ كَانَ اَبُوْ لَهَبٍ اَعْتَقَهَا فَاَرْضَعَتِ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ اُرِيَهٗ بَعْضُ اَهْلِهٖ بِشَرِّ حِيْبَةٍ قَالَ لَهٗ مَاذَا لَقِيْتَ قَالَ اَبُوْ لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنِّىْ سُقِيْتُ فِىْ هٰذِهِ بِعَتَاقَتِىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “হযরত উরওয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন আবূ লাহাবের বাঁদী অর্থাৎ অধীনে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি হয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত করার জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আবূ লাহাব আযাদ করে দিয়েছিলো। এরপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করান। অতঃপর আবূ লাহাব যখন মারা গেলো (এক বছর পর) তার পরিবারের একজন অর্থাৎ তার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম) তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আবূ লাহাব ভীষণ কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে? আবূ লাহাব উত্তরে বললো, যখন থেকে আপনাদের থেকে দূরে রয়েছি, তখন থেকেই ভীষণ কষ্টে আছি। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ বা স্বাধীন করে দেয়ার কারণে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছি।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ)