1 Y

পবিত্র মসজিদ নির্মাণের ফাযায়িল-ফযীলত
=============================================
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا بَنَـى اللهُ لَهٗ قَصْرًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত মসজিদ নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে নাজ্জার, জামি‘উল আহাদীছ ২০/১২৬, জামিউল জাওয়ামি’, ইহইয়াই উলূমিদ্দীন, কানযুল উম্মাল)

মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ بَيْتًا يُعْبَدُ اللهُ فِيْهِ مِنْ مَّالٍ حَلالٍ بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ مِنْ دُرٍّ وَّيَاقُوْتٍ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ইবাদত করার উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য হালাল সম্পদ বা অর্থ দ্বারা একটি পবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে মুক্তা ও ইয়াকূতের একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ২০/৩০, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৫/১৯৫, শু‘য়াবুল ঈমান ৪/৩৭৪, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৬, জামি‘উল আহাদীছ ২০/১২৩, তাফসীরে দুররে মানছূর ৭/২৬৫, তাফসীরে কবীর ৪/১৩ ইত্যাদি)

সম্মানিত হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْۢ بَنٰى مَسْجِدًا لَّا يُرِيْدُ بِهٖ رِيَاءً وَّلَا سُـمْعَةً ۢبَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মসজিদ মুবারক নির্মাণ করে, সেখানে লোকপ্রদর্শন বা সুখ্যাতি লাভের উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৭/১১১, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৮, তাফসীরে দুররে মানছূর ৪/১৪৩, ইহইয়াই উলূমিদ্দীন, কানযুল উম্মাল ৭/৬৫৫ ইত্যাদী)

পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ زَادَ بَيْتًا فِـى الْمَسْجِدِ فَلَهُ الْـجَنَّةُ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি পবিত্র মসজিদ উনার জায়গা বৃদ্ধি করবেন, উনার জন্য জান্নাত ওয়াজিব। ” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বাইলুছ ছাহাবা ৫/১১৮, কানযুল উম্মাল ৭/৬৫৩)

পবিত্র মসজিদ নির্মাণের বেমেছাল ফযীলত সম্পর্কে অনেকগুলো হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, সেটা ছোট হোক বা বড় হোক, অথবা কবুতরের বাসার মতো কিংবা তার চেয়েও ছোট হোক, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে মুক্তা, ইয়াকূত দ্বারা অতি উত্তম এবং অনেক প্রশস্ত একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। সুবহানাল্লাহ! এমনকি, কেউ যদি মসজিদ উনার জায়গা বৃদ্ধি করে, তার জন্য সম্মানিত জান্নাত ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!

এ সকল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ব্যাখ্যায় মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এটা আমভাবে বলা হয়েছে যে, একটি মসজিদ নির্মাণ করলে জান্নাতে একটি বালাখানা নির্মাণ করা হবে। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে কোটি কোটি তথা অসংখ্য-অগণিত, বেহিসাব বালাখানা নির্মাণ করবেন, যার কোন হিসাব নেই। সুবহানাল্লাহ! কারণ কিয়ামত পর্যন্ত যত লোক ঐ মসজিদ মুবারক-এ নামায পড়বে এবং অন্যান্য যত ইবাদত বন্দেগী করবে, এই সমস্ত আমল মুবারকের ছওয়াব মসজিদ নির্মাণকারী উনার আমলনামায় যেয়ে পৌঁছবে। ” সুবহানাল্লাহ!

-০-

image