৩রা রজবুল হারাম শরীফ
--------------------------------
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
ক্বায়িম মাক্বামে সিবতাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উমাম
আর রবি'য়াহ আলাইহাস সালাম।
----------------------------------
আর একজন হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ , সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন , হাবীবাতুল্লাহ, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাইয়্যিদাতুল উম্মাম আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম ।
উনারা উভয়ই হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম আম্মাজি ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদের নাতনী।
আর উনাদের সম্মানিত মাতা হচ্ছেন নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনাদের সম্মানিত পিতা হচ্ছেন,
শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ।
উনারা দুইজনই সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন,
৩রা রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ ।
অনেক ফযিলত মুবারক হচ্ছেন উনাদের। উনাদের নিসবতটা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম এবং উম্মুল উমাম আম্মাজি ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাদের সাথে । সুবহানাল্লাহ
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম।
-----------------------------------
উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সংখ্যায় ১৩ জন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার দিক থেকে উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ১৩ তম। এজন্য উনাকে আরবীতে বলা হয় আছ ছালিছাহ আশার অর্থাৎ ১৩ তম।
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক হচ্ছেন,
উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত
( মাইমূনাহ আলাইহাস সালাম )
উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মাবারক হচ্ছেন, ( হযরত হারিছ বিন হাযান আলাইহিস) সালাম উনার সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হচ্ছেন, ( হযরত হিন্দা বিনতে আওফ আলাইহাস সালাম )
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি
সাইয়্যিদুনা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের
সম্মানিতা খালা ছিলেন।
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস সম্পর্কে সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত নবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ৩১ বছর পূর্বে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ৩ তারিখ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াম শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মক্কা শরীফে তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ
এবং
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন, ৭ম হিজরী সনের যিলক্বদ শরীফ উনার ১৬ তারিখ পবিত্র মক্কা শরীফে। সেই সময় উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৫০ বছর ৪ মাস ১৩ দিন।
বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত মুবারক হচ্ছেন উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার।
সাইয়্যিদুনা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম তিনি
শুধু যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন
এছাড়া সমস্ত শান মান ফাযায়িল ফযিলত সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি।
সুবহানাল্লাহ।
উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম তিনি
মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করতেন এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখতেন,
উনার অভ্যাস ছিল তিনি দাস দাসী ক্রয় করে মুক্ত করে দিতেন । এজন্য তিনি মাঝে মাঝে ধার কর্জ পর্যন্ত করতেন। একবার তিনি খুব বড় অংকের অর্থ কর্জ করেন উনাকে যখন জিজ্ঞেস করা হল আপনি এতো বড় অংকের কর্জ কিভাবে পরিশোধ করবেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন কোন লোকের যদি সদিচ্ছা থাকে যে, সে ধারকৃত টাকা পরিশোধ করবে তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।
তিনি ছিলেন নারী জাতির আদর্শ দ্বীন সংক্রান্ত বিষয়ে এবং আখলাখে ইলাহি অর্জনের জন্য তিনি নারী সমাজকে সব সময় নছিহত মুবারক করতেন।
তিনি হিজরী ৭ম সন থেকে হিজরী ৫১ সনে বিছালী শান মুবারক প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৪৪ বছর উম্মুল মুমিনীন হিসেবে আম জন সাধারনের মধ্যে এবং খাছভাবে মহিলাগনের মধ্যে তালিম তরবিয়তে ব্যপৃত ছিলেন। উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছা আশার আলাইহাস সালাম উনার বিছালী মুবারক সম্পর্কে বলা হয়।
পবিত্র মক্কা শরীফে তিনি মারিদ্বী শান মুবারক গ্রহন করেন ।
ধিরে ধিরে তা প্রকট হতে থাকে
তখন তিনি বললেন আমাকে তোমরা মক্কা শরীফ উনার বাইরে নিয়ে যাও পবিত্র মক্কা শরীফে আমার বিছালী শান মুবারক হবে না।
কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন, মক্কা শরীফে আমার বিছালী শান মুবারক হবে না।
তখন উনাকে সারফ নামক স্থানে সেই গাছটির নিকট নিয়ে যান।
যেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে একটি তাবুতে নিসবাতুল আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর
উনার মুবারক খিদমতে তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছিলেন।
অতঃপর ঐ স্থানটিতেই উনার বিছালী শান মুবারক হয়ে যায়।
দিনটি ছিল যিলহজ্ব শরীফ উনার ১৯ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তখন উনার সম্মানিত বয়স মুবারক হয়েছিলেন
৯৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার জানাজার নামায পড়ান এবং এই স্থানেই উনার রওযা শরীফ স্থাপন করা হয়।
বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত সম্মান মুবারক উনার
উনার যখন জিসিম মুবারক যখন খাটিয়ায় উঠানো হয়
তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
সাবধান ইনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাওজাতুম মুকাররমা এবং তিনি হচ্ছেন উম্মুল মুমিনীন অর্থাৎ মুমিনগনের মাতা।
খুব আদবের সাথে উনাকে নিয়ে চলবেন। সুবহানাল্লাহ।
--------------------------------------------
অনেক ফযিলত হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান মান ফাযায়িল ফযিলত বুযূর্গী সম্মান খুছুছিয়ত বৈশিষ্ট মুবারক সম্পর্কে
যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন ,
মুসলিমাতিম মুঃমিনাতিন কনিতাতিন তাইয়্যিবাতিন আবিদাতিন সাইয়্যিহাতিন।
অর্থাৎ
মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা প্রত্যেকেই আত্মসমর্পণকারিণী , এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি উনারা প্রত্যেকেই বিশ্বাসস্থাপনকারীনি , আবার উনারা প্রত্যেকেই অনুগতা , আবার প্রত্যেকেই তাওবাকারীণি , উনারা প্রত্যেকেই ইবাদতকারীণি , আবার উনারা প্রত্যেকেই রোযাদার। সুবহানাল্লাহ।
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,
উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছিফত মুবারক সম্পর্কে ।
.অসংখ্য অগনিত ছিফত মুবারক উনাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত সৃষ্টিকে দয়া করে জানিয়ে দিয়েছেন।
কয়েকটি ছিফত মুবারক সম্পর্কে ।
কেন বলেছেন ?
যেন বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশান তারা এগুলো উপলব্ধি করে উনাদেরকে তাযিম তাকরীম মুবারক করতে পারে ,
উনাদের খিদমতের আনজাম দিতে পারে , উনাদের ছানা ছিফত করতে পারে। উনাদের শানে সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষন করতে পারে।
এগুলো করে তারা যেন উনাদের নিসবত কুরবত রেযামন্দি সন্তুুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে। সুবহানাল্লাহ ।
ছিফতগুলো হলো , মহান আল্লাহ পাক
তিনি বলেছেন ,
মুসলিমাতিন
উনারা মুসলমান ,
অর্থাৎ মুসলমানিত্বের যে মাক্বাম সেটার মুল মালিক এবং অধিকারী হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা।
অর্থাৎ উনাদের প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনলেই মানুষ মুসলমান হতে পারে।
সুবহানাল্লাহ। এরপরে বলেদিচ্ছেন ,
মুঃমিনাতিন
উনারা ঈমানদার।
অর্থাৎ মু'মিন হওয়ার ঈমানদার হওয়ার যে মুল মাক্বাম সেটারও মূল মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ।
অর্থাৎ উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বিদা পোষন করলেই সে হাক্বীক্বী ঈমানদার হতে পারবে।
সুবহানাল্লাহ। এরপর বলেদিচ্ছেন ,
কনিতাতিন
এখানে কনিতাতিন এই সম্মানিত লফয মুবারক উনার একাধিক অর্থ।
একখানা অর্থ মুবারক হচ্ছেন অনুগতা। অর্থাৎ নামায রোযা ইবাদত বন্দেগী যারা বেশি করে থাকেন, উনাদের মূল হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ ।
অর্থাৎ উনাদের প্রতি হুসনে যন বিশুদ্ধ আকিদা রাখলেই মানুষ বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী নামায কালাম ইত্যাদি আদায় করতে পারবে।
সুবহানাল্লাহ । এরপর বলেদিচ্ছেন ,
তাইয়্যিবাতিন
খালেছ তওবাকারী। তওবাকারীর অনেক অর্থ। একখানা অর্থ হচ্ছে, প্রত্যাবর্তনকারী অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব মাহবুব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে প্রত্যাবর্ত করতে হবে। এই তওবার যে মাক্বাম
সেটার মূল মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ।
অর্থাৎ উনাদের সাথে খাছ নিসবত কুরবত মুহব্বত রাখলেই সমস্ত বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশানের পক্ষে খালিছ তওবা করা সহজ এবং সম্ভব হবে ।
সুবহানাল্লাহ । এরপর বলে দিচ্ছেন,
আবিদাতিন খালিছ আবিদ।
অর্থাৎ আবদিয়াতের যে মাক্বাম
সেই সম্মানিত মাক্বাম মুবারক উনার মূল মালিক এবং অধিকারী হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা । সুবহানাল্লাহ।
অর্থাৎ উনাদের নিসবত কুরবত মুহব্বত যদি হাছিল করা যায় , তাহলে আবদিয়াতের মাক্বাম হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ । এরপর বলে দিচ্ছেন,
সাইয়্যিহাতিন অর্থাৎ ছমাদিয়াত।
এই ছমাদিয়াতের মাক্বামেরও মালিক হচ্ছেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ।
যারা উনাদের সাথে নিসবত রাখবে উনাদের কুরবত হাছিল করবে শুধু তাদের পক্ষেই একমাত্র এই ছমাদিয়াতের মাক্বামের হিসসা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে।
সুবহানাল্লাহ ।
---------------------------------------------
এখানে ফিকিরের বিষয় হলো উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এই ছিফতগুলো কে বর্ননা করেছেন ?
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই বর্ননা করেছেন। তিনি কি বলেছেন ?
তিনি বলেছেন উনারা মুসলমান। আবার বলেছেন উনারা ঈমানদার। আবার বলেছেন উনারা অনুগতা। উনারা খালিছ তওবাকারী উনারা খালিছ আবিদ আবার ছমাদিয়াতের মাক্বামটাও উনাদের।
সুবহানাল্লাহ।
এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কাউকে বলেন,
তিনি মুসলমান তাহলে উনারা কোন পর্যায়ের মুসলমান হবেন। আবার যদি তিনি কাউকে ঈমানদার বলেন, কাউকে তওবাকারী বলেন, কাউকে আবিদ ইবাদতকারী বলেন, তাহলে উনারা কোন পর্যায়ের ঈমানদার তওবাকারী আবিদ হবেন এটা চিন্তা এবং ফিকিরের বিষয়।
সুবহানাল্লাহ।
মূলত উনাদেরকে মুহব্বত করেই মানুষ জিন ইনসান তারা মুসলমান হয়, ঈমানদার হয়, তওবাকারী হয়, ইবাদতকারী হয়। শুধু এতোটুকুই নয় উনাদেরকে মুহব্বত করতে পারলে বান্দা বান্দী জ্বীন ইনশান তারা সর্বদিক থেকে কামিয়াবী লাভ করতে পারবে।
সুবহানাল্লাহ।
কাজেই যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বী ভাবেই মুহব্বত করার তাওফিক দান করেন,
উনাদের মুহব্বতটা আমাদের অন্তরে পরিপূর্ণ করে দেন। উনাদের মুহব্বতে, ধ্যানে খেয়ালে মশগুল থাকার তাওফিক দান করেন, এবং উনাদের মুহব্বত আমাদের অন্তরে রিযিক করে দেন।
সুবহানাল্লাহ।