কাফির মুশরিক বেদ্বীন বদদ্বীনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, তাদেরকে অনুসরণ করা ও ভাল মনে করা হারাম ও নাজায়িয
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত মুসলমানদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অবশ্যই তোমাদের সকলের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই উত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ২১)
মুসলমানদের জন্য প্রত্যেক অবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পরিপূর্ণ অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। পোষাক থেকে শুরু করে উঠা বসা, চলাফেরা, খাওয়া, ওযূ, ইস্তিঞ্জা, ঘুম অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব অবস্থায় সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। তবেই উনারা ইহকাল ও পরকালে সব অবস্থায় সব জায়গায় কামিয়াবী হাছিল করবেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার প্রিয়তম হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত (সন্তুষ্টি) পেতে চাও তাহলে আমার অনুসরণ করো। তাহলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন, তোমাদের গুনাখাতা ক্ষমা করে দিবেন এবং তোমাদের প্রতি দয়ালু হবেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ৩১)
এই সম্মানিত আয়াত শরীফ থেকে জানা গেলো যে, যে বান্দা-বান্দী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ অনুকরণ করবেন উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহব্বত করবেন অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু হবেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি উনাদের গুনাহখতা ক্ষমা করবেন অর্থাৎ উনারা নিষ্পাপ হয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনাদের প্রতি দয়ালু হবেন। অর্থাৎ সারা কায়িনাতের মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি দয়ালু হয়ে ইহকালে ও পরকালে গায়েবী মদদ বা সাহায্য করবেন, সন্তুষ্টি রেযামন্দি, মুহব্বত মা’রিফাত তায়াল্লুক, নিসবত, কুরবত মুবারক দান করবেন। ফলে উনারা কামিয়াবী হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ!
কাফির মুশরিক বেদ্বীন বদদ্বীন যারা রয়েছে এদেরকে কখনো অনুসরণ করা যাবে না, এদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেনা। উঠা বসা করা যাবে না। যদি কোন মুসলমান এদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে অথবা এদের চাল-চলন অনুসরণ করে, এদের সাথে উঠাবসা করে তবে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খৃস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই দলভুক্ত হবে। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫১)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা কাফির-মুশরিকদের এবং মুনাফিকদের অনুসরণ করোনা। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে। (মুসনাদে আহমদ শরীফ, সুনানে আবু দাউদ শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে কাফিরদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করার তাওফিক দান করুন।