মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৩৬)
সেটাই বুখারী শরীফ ও অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ عُرْوَةُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَسَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) مَوْلَاةٌ لِاَبِىْ لَهَبٍ كَانَ اَبُوْ لَهَبٍ اَعْتَقَهَا فَاَرْضَعَتِ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا مَاتَ اَبُوْ لَهَبٍ اُرِيَهٗ بَعْضُ اَهْلِهٖ بِشَرِّ حِيْبَةٍ قَالَ لَهٗ مَاذَا لَقِيْتَ قَالَ اَبُوْ لَهَبٍ لَمْ اَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ اَنِّىْ سُقِيْتُ فِىْ هٰذِهِ بِعَتَاقَتِىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ اَلْاُوْلٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ
অর্থ: “হযরত উরওয়াহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন আবূ লাহাবের বাঁদী অর্থাৎ অধীনে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি হয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত করার জন্য সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আবূ লাহাব আযাদ করে দিয়েছিলো। এরপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করান। অতঃপর আবূ লাহাব যখন মারা গেলো (এক বছর পর) তার পরিবারের একজন অর্থাৎ তার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦াতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম) তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আবূ লাহাব ভীষণ কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে? আবূ লাহাব উত্তরে বললো, যখন থেকে আপনাদের থেকে দূরে রয়েছি, তখন থেকেই ভীষণ কষ্টে আছি। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ বা স্বাধীন করে দেয়ার কারণে সুমিষ্ট ঠান্ডা ও সুশীতল পানি পান করতে পারছি।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ)