✴️শীতকালে যেসব আমল সহজেই করতে পারি-
১. শীতকালে রোযা রাখা
রোযা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি ও নেকী লাভের অন্যতম মাধ্যম। শীতকালের রোযায় স্বল্প সময় ব্যয় হয়। সুতরাং শীতকাল রোযা পালনের মোক্ষম সুযোগ। এ জন্য শীতকালের রোযাকে বিনা পরিশ্রমে নেকী লাভের মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘শীতকালের রোযা হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে যুদ্ধলব্ধ মালের অনুরূপ।’ (তিরমিযী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৭৯৭)
পূর্বে উদ্ধৃত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট। শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট এবং ঠা-া। ফলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে যেমন থাকতে হয় না, তেমনি তৃষ্ণার্ত হওয়ারও ভয় নেই। সুতরাং কারো যদি কাযা রোযা বাকি থাকে, তবে এটাই হলো সেগুলো আদায় করে নেয়ার মোক্ষম সুযোগ। তাছাড়া বেশি বেশি নফল রোযা রাখারও এটি সুবর্ণ সময়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ওয়াস্তে যে ব্যক্তি একদিন রোযা পালন করলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতিদানস্বরূপ জাহান্নাম এবং ওই ব্যক্তির মাঝখানে ৭০ বছরের দূরত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ: ২৮৪০, মুসলিম শরীফ: ১১৫৩)
অতএব শীতের এই মওসুমে বেশি বেশি রোযা রাখা উচিত। বিশেষতঃ আইয়্যামে বীয অর্থাৎ হিজরী প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা। তাছাড়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সকল মাসে নির্র্দিষ্ট নিয়মে রোযা রাখতেন উনার অনুসরণে সেসব দিনে রোযা রাখা।