ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী (৭)
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৩ নম্বর আয়াত শরীফ:
যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَوْلا جَاؤُو عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاء فَأُوْلَئِكَ عِندَ اللهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ.
অর্থ : তাহলে তারা (মুনাফিক্বরা) কেন এ ব্যাপারে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করল না? অতঃপর তারা সাক্ষী উপস্থিত করতে পারেনি, (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন, মুনাফিক্ব ও কাফিরগুলো) তারাই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কঠিন মিথ্যাবাদী (হিসাবে সাব্যস্ত ও প্রমাণিত হয়েছে)।” নাঊযুবিল্লাহ!
এখনও যারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এলোমেলো কথা বলছে, চু-চেরা, কীল-কাল করছে তারাও কাট্টা মিথ্যাবাদী হবে, জালিম হবে, জাহান্নামী হবে। নাঊযুবিল্লাহ! যখন মুনাফিক ও কাফির মুশরিকরা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে চু-চেরা, কীল-কাল করেছিল তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অনেকেই ছিলেন, উনারা অনেকেই চুপ হয়ে গেছেন, বুঝতে পারেননি। আবার অনেকে প্রতিবাদও করেছেন। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু যারা উনাদের সম্পর্কে অপবাদ দিয়েছিল তারা চরম মিথ্যাবাদী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৪ নম্বর আয়াত শরীফ: যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَوْلا فَضْلُ اللهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ لَمَسَّكُمْ فِي مَا أَفَضْتُمْ فِيهِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ : যদি তোমাদের প্রতি ইহকাল ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফযল ও রহমত মুবারক না থাকতো, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, সেজন্য তোমাদেরকে কঠিন আযাব স্পর্শ করতো। নাঊযুবিল্লাহ! (অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্রতা মুবারক উনার খিলাফ অপবাদ শুনার পরও প্রতিবাদ না করার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তোমাদের উপর কঠিন আযাব-গযব নেমে আসতো। নাঊযুবিল্লাহ!)”
অর্থাৎ এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যারা মুনাফিক তারা তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে এ বিষয় অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন, অনেকে চুপ ছিলেন, অনেকের বুঝতে সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। সেটাই বলা হয়েছে, যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক ইহকাল পরকালে আপনাদের উপর না থাকতো, যে আমলে আপনারা জড়িত হয়ে গেছেন, লিপ্ত হয়ে গেছেন, অবশ্যই আপনাদেরকে কঠিন আযাব-গযব স্পর্শ করতো। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ১৫ নম্বর আয়াত শরীফ: যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللهِ عَظِيمٌ.
অর্থ : (তোমরা জেনে রাখ) যখন তোমরা তোমাদের মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে (মুখ দিয়ে চর্চা করেছিলে)এবং তোমরা জবান দিয়ে এটা প্রচার করেছিলে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ (তোমাদের বলা উচিত ছিলো) এ বিষয় তোমাদের (অর্থাৎ আমাদের) কোন ইলিম-কালাম নেই। তোমরা এই বিষয়টিকে হাল্কা মনে করেছিলে, অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এটি একটি অত্যন্ত কঠিন অপরাধ, কঠিন কবীরাহ গোনাহ। (তোমরা যখন এ কথা শুনলে তখন কেন বললে না যে, এ বিষয়ে কোন কথা বলা আমাদের উচিত নয়)।”
অর্থাৎ তোমরা জেনে রাখ, তোমরা কিন্তু তোমাদের মুখ দিয়ে অনেকবার চর্চা করেছ, আলোচনা করেছ, তোমরা সেটা মানুষের কাছে বারবার বলেছ, তোমরা তোমাদের মুখ দিয়ে প্রচার করেছ, ওয়াসওয়াসা দিয়েছ। নাঊযুবিল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এই শব্দ মুবারক দু’বার এনেছেন إِذْ تَلَقَّوْنَهُ অর্থ মুবারক: বারবার বলা। بِأَلْسِنَتِكُمْতোমাদের জবান দিয়ে। تَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم তোমাদের মুখ দিয়ে এটা প্রচার করেছ। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ তোমাদের বলা উচিত ছিলো, তোমাদের এ বিষয় কোন ইলিম-কালাম নেই। তোমরা কিন্তু সেটা বলোনি। নাঊযুবিল্লাহ!