حَبِيبُ الْأَحِبَّةِ، حَبِيبُ اللهِ ﷺ، فِي ذَاكِرَتِي
প্রিয়দের প্রিয়,হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার স্মৃতিতে- ২১
................
আমিতো বাসায় বিছানায় পড়ে থাকি। সবাই জানে আমি অসুস্থ, কিন্তু প্রায় সময় আমি কাদঁতে কাদঁতে বিছানা হতে নীচে পড়ে যাই। আম্মু এসে ধরাধরি করে তোলেন আর বলেন- তুমি এত কাদঁছো কেনো? আমি আছিনা! আমি বললাম-না আম্মু! আমিতো বাবাজান কিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে ছাড়া বাচঁবো না। উনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। আম্মু আবার সবার সাথে আমি কি বলি সেগুলো আলাপ করেন। আত্নীয় স্বজন বিভিন্নজন শুনে বলেন- আপনার ছেলেকে কেউ তাবিজ করেছে নয়তো জ্বিনে ধরেছে। এজন্য সে এমন করে। আমি পাশের রুম থেকে সব শুনি! এসময় একদিন শরীরে শক্তি নিয়ে আমি উঠলাম। চিন্তা করলাম হায় আল্লাহ পাক! পবিত্র দরবার শরীফে তো আমাকে ভাইয়ারা দায়েমী সুন্নত মুবারক পাগড়ি পড়িয়ে দিতেন। আমি এখন সুন্নতী নিয়মে কিভাবে পড়বো। আমার মহান মামদুহ মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম কত সুন্দর করে পাগড়ি পড়েন। এসব চিন্তা করে আমি নিজেই দৃঢ়তার সাথে আয়নার সামনে দাড়িয়ে পাগড়ি পড়া শুরু করলাম। আমার মনে হলো কেউ আমার হাতের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে সুন্দর করে পাগড়ি পড়িয়ে দিলেন। সেই যে নিজে নিজে পাগড়ি পড়া শিখলাম পবিত্র দরবার শরীফে প্রায় সবাই বলাবলি করতেন আমার পাগড়ি বাধা খুব সুন্দর! নতুন কেউ বায়াত মুবারক গ্রহন করলেই আমার দ্বারা পাগড়ি পড়াতে নিয়ে আসতেন সবাই। এমনকি পবিত্র দরবার শরীফে বহু বহু সিনিয়র জুনিয়র পীরভাইগন বিয়ের সময় উনাদের পাগড়ি আমিই পড়িয়ে দিতাম! প্রিয়দের প্রিয়, নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাস সুন্নত মুবারক পাগড়ি পরিধানের দক্ষতা হাসিল করায় নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয়েছে। আমার মহান মামদুহ মুরশিদ কিবলা কাবা আলাইহিস সালাম তিনি অনেক সময় আমাকে উনার নুরানী আঙ্গুল মুবারক দিয়ে স্পর্শ মুবারক করে আমার মাথার পাগড়ি ঠিক করে দিতেন, খাস সুন্নতী পদ্ধতি তিনি আমাকে বুঝিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ!
Read Less