কথিত ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে শরঈ ফতওয়া (১৩)
সুওয়াল:
বর্তমানে তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষ কঠিন ভয়াবহ ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক ফায়ছালা কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জওয়াব (ধারাবাহিক):
ট্রান্সজেন্ডারের ভয়াবহ পরিণাম:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিশ্বখ্যাত হানাফী ফক্বীহ্ হযরত ইমাম আবুল ফযল আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমূদ মূছেলী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
اَللِّوَاطَةُ اَنَّهَا كَالزِّنَاৃ وَقَدْ تَمَحَّضَ حَرَامًا فَيَجِبُ الْحَدُّ كَالزِّنَا وَالصَّحَابَةُ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ اَجْمَعُوْا عَلٰى وُجُوْبِ الْحَدِّ فِيْهَا لٰكِنِ اخْتَلَفُوْا فِيْهِ قَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقُ الْاَكْبَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُحْرَقُ بِالنَّارِ وَقَالَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَيْهِ حَدُّ الزِّنَا وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُحْبَسَانِ فِىْ اَنْتَنِ مَوْضِعٍ حَتّٰى يَمُوْتَا وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُهْدَمُ عَلَيْهِمَا جِدَارٌ وَقَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يُنَكَّسُ مِنْ مَّكَانٍ مُّرْتَفَعٍ
অর্থ : সমকামিতা জিনা বা ব্যাভিচারের ন্যায় জঘন্য অপরাধ। এটা সম্পূর্ণরূপে হারাম। সমকামিতার হদ বা শরঈ শাস্তি হচ্ছে জিনা বা ব্যাভিচারের শাস্তির অনুরূপ। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সমকামিতার শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়ার ব্যাপারে ইজমা বা ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তবে কিভাবে তার শাস্তি কার্যকর হবে, সেই বিষয়ে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন, উভয়কে আগুনে পুড়িয়ে তাদের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- কার্যকর করা হবে। ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেছেন, জিনা বা ব্যাভিচারের শাস্তির ন্যায় শাস্তি দিয়ে উভয়ের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। উনাদের কেউ কেউ বলেছেন, তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত উভয়কে দুর্গন্ধযুক্ত জায়গায় বন্দী করে রাখা হবে। আবার উনাদের কেউ কেউ বলেছেন, তাদের উভয়ের উপর একটি প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে তাদের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, তাদের উভয়কে একটি উঁচু স্থান থেকে নিক্ষিপ্ত করে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- কার্যকর করা হবে। (অর্থাৎ তাদেরকে কঠিনভাবে শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ- কার্যকর করতে হবে।)” (আল ইখতিয়ার লি তা’লীলিল মুখতার ৪/৯১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِىْ قَوْمٍ قَطُّ حَتّٰى يُعْلِنُوْا بِهَا اِلَّا فَشَا فِيْهِمُ الطَّاعُوْنُ وَالْاَوْجَاعُ الَّتِىْ لَمْ تَكُنْ مَّضَتْ فِىْ اَسْلَافِهِمُ الَّذِيْنَ مَضَوْا
অর্থ : যখনই কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনার সম্প্রদায়ের ফাহিসামূলক কাজ সমকামিতা ব্যাপক হবে, তখনই সেই জাতির মধ্যে প্লেগ এবং এমন মহামারী ব্যাপক হবে যা তাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে ছিল না। না‘ঊযুবিল্লাহ! (ইবনে মাজাহ শরীফ)