ইজমা হয়েছে যে, ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (জিসিম মুবারক) উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-ি তথা পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই মহাসম্মানিত ও বরকতময় এবং ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন। আসমান-যমীন; এমন কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি।’

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!

তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা ইছনাইনিল আযীম, পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা।

আল-ইহসান প্রতিবেদন:

ছহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নিয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরতুল আল্লামা হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন- “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ‘হস্তিবর্ষের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা বার হিসেবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার)।” সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ বর্ণনা ‘বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘সীরাত-ই-হালবিয়াহ’, ‘যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব’, ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে। বিশিষ্ট তাফসীরকারক হযরতুল আল্লামা ইবনে কাছির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘বেদায়া-নেহায়া’ ২য় খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠায় লিখেন, “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সেই বছর বার হিসেবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ অর্থাৎ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দিনটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন। এটাই প্রসিদ্ধ, মশহুর ও গ্রহণযোগ্য মত।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইজমা হয়েছে যে, ‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (জিসিম মুবারক) উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-ি তথা পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই মহাসম্মানিত ও বরকতময় এবং ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন। আসমান-যমীন; এমন কি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি।’

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেহেতু এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কায়িনাতবাসীদেরকে বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে ফযল ও রহমত হিসেবে (আমাকে) লাভ করেছো, সেজন্য তোমরা ঈদ বা খুশি প্রকাশ করো।’ সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেহেতু এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ, পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ! আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করা।

image